প্রাইম ডেস্ক »
চট্টগ্রাম বন্দরে চীন থেকে আসা সিগারেটের বড় একটি চালান জব্দ করা হয়েছে। চালানটিতে সুতা থাকার কথা ছিল। তবে মিথ্যা ঘোষণায় আনা চালানটিতে রয়েছে বিভিন্ন ব্রান্ডের এক কোটি ৬৮ লাখ ৩০ হাজার শলাকা সিগারেট। যার বাজার মূল্য প্রায় ২৫ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস ও কাস্টমস গোয়েন্দা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সোমবার চালানটি জব্দ করেছেন। এই চালানে আমদানিকারক প্রায় ২২ কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করেছিলেন বলে কাস্টমসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পাবনার ঈশ্বরদী ইপিজেডের তিয়ানে আউটডোর (বিডি) কোম্পানি লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের নামে চীন থেকে একটি কনটেইনারে করে চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। আমদানিকারক বন্ড সুবিধার আওতায় সুতার থাকার ঘোষণা দিলেও সোমবার বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে কায়িক পরীক্ষার পর এতে পাওয়া যায় বিভিন্ন ব্রান্ডের সিগারেট। এর মধ্যে রয়েছে বেনসন, ডানহিল,আরসি, ইজি ও মন্ড ব্রান্ড।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার মো. সালাউদ্দিন রিজভী জানান, চীন থেকে তুলার সুতার নামে ৪০ ফুট লম্বা একটি কনটেইনারে চালান বন্দরে আসে। এটি খালাসের জন্য চট্টগ্রামের স্ট্র্যান্ড রোডের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ক্রোনি শিপিং করপোরেশন (প্রা.) লিমিটেড জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে।
এরপর চালানটি নিয়ে সন্দেহ দেখা দিলে ২৬ ফেব্রুয়ারি খালাস কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
সোমবার কাস্টম হাউস, কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর, সরকারি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে কনটেইনারটি খুলে শতভাগ পরীক্ষা করা হয়। কনটেইনারে থাকা ৮৭৭টি কার্টন পরীক্ষায় সিগারেটগুলো পাওয়া যায়।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের তথ্যমতে, এ চালানে পাওয়া সিগারেটের আনুমানিক আমদানি মূল্য প্রায় তিন কোটি ৬২ লাখ টাকা। যার শুল্ক আসে প্রায় ২১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।
এর পুরোটাই ফাঁকির অপচেষ্টা হয়েছিল। সিগারেট শর্তসাপেক্ষ আমদানিযোগ্য এবং উচ্চ শুল্কের পণ্য।
অপরদিকে সুতা শুল্কমুক্ত সুবিধার পণ্য। তাই আমদানিকারক রাজস্ব ফাঁকি দিতে কটন ইয়ার্ন ঘোষণা দিয়ে সিগারেট নিয়ে এসেছে। আটক চালানের বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে কাস্টমস সূত্র জানিয়েছে।