প্রাইম ডেস্ক »
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কেএম আলী আজম বলেছেন, সুন্দর দ্বীপ আরও সুন্দর গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে ১৩ সুপারিশ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কাজ চলমান রয়েছে। বিশ্বব্যাপী পরিচিত দেশের এক মাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন রক্ষায় নতুন করে আর কোনো হোটেল ও অবকাঠামো করতে দেওয়া হবে না।
মূলত দ্বীপের পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা ও ইকোট্যুরিজম উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনাসহ দ্বীপবাসীদের কথা চিন্তা করে এসব সুপারিশ নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় কেন্দ্রে ১৩টি সুপারিশ বাস্তবায়নে অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভা পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে সিনিয়র সচিব কেএম আলী আজম বলেন, দ্বীপের পরিবেশ অনুযায়ী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এখন পর্যন্ত ৯৬০ থেকে ১২০০ পর্যটক দ্বীপে ভ্রমণে কাম্য। তবে এখানকার মানুষের জীবিকা নির্বাহ করে সেন্টমার্টিনে পর্যটক নির্ধারণ করা হবে সেন্টমার্টিনে।
আলী আজম বলেন, দ্বীপ রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। সেটি বাস্তবায়নে আমরা সবাই মিলে কাজ করছি। মূলত দ্বীপে জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা, ইকোট্যুরিজম উন্নয়ন এবং নতুন স্থাপনা বন্ধসহ সরকার খুব দ্রুত একটি নীতিমালা তৈরি করবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এসব নীতিমালা বাস্তবায়ন করা হবে।
সভায় পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল হামিদ বলেন, ‘দ্বীপে পরিবেশ রক্ষায় সব শ্রেণির পাশাপাশি স্থানীয় জনগণ কাজ করে যাচ্ছে। দ্বীপ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রাখতে পরিবেশের কাজ চলমান রয়েছে। এখন থেকে সার্বক্ষণিক আমাদের টিম কাজ করবে।
চট্রগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে ১৩ সুপারিশ বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তর কাজ করছে। দ্বীপ রক্ষায় এখন থেকে বর্ষা মৌসুমে পালাক্রমে এখানে আমাদের লোকজন কাজ করবে।
ডিসি মো. মামুনুর রশিদ বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে নতুন করে কোনো অবৈধ ভবন করা যাবে না। দ্বীপের ব্যবস্থাপনার কমিটির মাধ্যমে সব শ্রেণির মানুষের সঙ্গে নিয়ে আমরা এই দ্বীপকে পরিচ্ছন রাখব। সরকার যে নীতিমালা করেছে সেটি বাস্তবায়ন করা হবে।