প্রাইম ভিশন ডেস্ক »
ইউরোপের পাশাপাশি এবার মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোও চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সরাসরি জাহাজ পরিচালনায় আগ্রহী হয়ে উঠছে। সম্প্রতি নতুন করে ইউরোপের দুটি দেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুটি বন্দর আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে চট্টগ্রাম বন্দরও। তাদের আবেদন পেলেই তা দ্রুত অনুমোদন দেয়া হবে বলে বলছেন বন্দর কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম-ইউরোপ রুটে জাহাজ পরিচালনা করতে চায় ইউরোপের দুই দেশ পর্তুগাল ও স্লোভেনিয়া। এরই মধ্যে এ বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই করার আগ্রহ দেখিয়েছে তারা। এর পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি ও দুবাইয়ের দুটি বন্দরও একই আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তিন দেশের আগ্রহের বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। তাদের কাছ থেকে আবেদন পেলেই তা দ্রুত অনুমোদন দেবেন বন্দর কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ইউরোপের দেশ পর্তুগাল ও স্লোভেনিয়া চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি তাদের বন্দরে জাহাজ পরিচালনায় আগ্রহ দেখিয়েছে। পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি ও দুবাইয়ের দুটি বন্দরও সরাসরি পণ্যবাহী জাহাজ পরিচালনা করতে চায়। আমরা বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। তারা আবেদন করলে আমরা তা দ্রুত অনুমোদন দেব।
তিনি বলেন, আগে ইউরোপের দেশগুলোতে পণ্য পাঠাতে একমাসেরও বেশি সময় লাগতো। এ জাহাজগুলো চালু হলে একদিকে যেমন দ্রুত সময়ের মধ্যে রফতানি পণ্য পৌঁছানো সম্ভব হবে, তেমনি আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতিও বৃদ্ধি পাবে।
অন্যদিকে, ইউরোপের আরো দুই দেশ স্পেন ও নেদারল্যান্ডসে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সরাসরি রফতানি পণ্যভর্তি কনটেইনার পাঠাতে তিনটি জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে। আগামী মাসের তৃতীয় সপ্তাহে জাহাজগুলো চালু করবে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান কমোডিটি সাপ্লাইজ এজি। বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে ‘রিলায়েন্স শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিকস লিমিটেড’।
প্রাথমিকভাবে জাহাজ তিনটি চট্টগ্রাম থেকে স্পেনের বার্সেলোনা ও নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম বন্দরে সরাসরি রফতানি পণ্য পরিবহন করবে। এতে সময় লাগবে ১৯ থেকে ২০ দিন। যেখানে এখন সিঙ্গাপুর ও কলম্বোতে জটের কারণে সময় লাগছে ৩৫ থেকে ৪০ দিন। ফলে জাহাজগুলো চালু হলে রফতানি পণ্য ইউরোপে পাঠাতে সময় অনেকটাই কমে আসবে বলে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে, গত মার্চ মাসে চট্টগ্রাম-ইতালি রুটে সরাসরি পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়। এর ফলে ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর- সিঙ্গাপুর, কলম্বো, তানজুম পেলিপাস, পোর্ট কেলাং এবং চীনের বন্দর বাদ দিয়ে ইউরোপ-আমেরিকায় পণ্য রফতানির সুযোগ তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি রফতানিকারকদের সময় ও অর্থের অপচয় রোধ হচ্ছে। বর্তমানে চট্টগ্রাম-ইতালি রুটে সরাসরি জাহাজ পরিচালনা করছে ইতালিভিত্তিক ফরোয়ার্ডার প্রতিষ্ঠান ‘রিফ লাইন’।