প্রাইম ডেস্ক »
জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর হয়ে আমজাদ চৌধুরী সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের উদ্দেশে দেশ ত্যাগ করতে চেয়েছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিমান বন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের সহায়তায় রাত সাড়ে ১০ টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে রাতেই তাকে সীতাকুণ্ড মডেল থানা পুলিশের হেফাজতে পাঠানো হয় এবং তিনি বর্তমানে সেখানেই আছেন।
দুদক সূত্র জানায়, আমজাদ চৌধুরী অর্থ আত্মসাতসহ ১৫ মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট এবং দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বিষয়টি জানিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর এবং জল, স্থল ও বিমান বন্দরে চিঠি দেয়া হয়েছিল। সর্বশেষ ২০২১ সালের ২৬ জানুয়ারি দুদকের প্রধান কার্যালয়ের মানি লন্ডারিং শাখা থেকে মো. আমজাদ হোসেন চৌধুরী দেশত্যাগের করতে না পারার বিষয়ে সকল বন্দরে চিঠি দেয় দুদক। দুদকের এ নিষেধাজ্ঞার ভিত্তিতে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে দুদকে খবর দেয়।
দুদক জানায়, অর্থ আত্মসাতের এ মামলায় বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরী, তার ভাই আমজাদ চৌধুরী, জসিম উদ্দিন চৌধুরী ও আসলামের স্ত্রী জামিলা নাজনিল মাওলাকে আসামি করা হয়। এবি ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখা থেকে ৩২৫ কোটি ৭৬ লাখ ৩০ হাজার ৯৫৫ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে দুদক ২০১৬ সালের ১৬ জুলাই তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে। এ ঋণটি নেয়া হয় তাদের পারিবারিক ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান রাইজিং স্টিল মিল লিমিটেডের নামে। হালিশহরের সাউথ ইস্ট ব্যাংক থেকেও ১৪৮ কোটি ২০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে
আত্মসাতের অভিযোগে দুদক একই বছরের ২৬ ডিসেম্বর হালিশহর থানায় আরেকটি মামলা করে। এ মামলারও চার্জশিটভুক্ত আসামি আমজাদ হোসেন চৌধুরী। এ দু’টিসহ মোট ১৫ মামলায় তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হয়। কিন্তু এতো দিন তিনি দেশে থাকলেও পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। অবশেষে দেশ ছাড়ার সময় পুলিশের জালে ধরা পড়েন তিনি। তার ভাই বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরী এ সব মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।