প্রাইম ডেস্ক »
রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, কালুরঘাট রেলসেতুর সম্ভাব্যতা যাচাই ও নকশা প্রণয়নের কাজ চলছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে সেতুর উচ্চতা ৪.৬ মিটার। নদীর নাব্যতা ও নৌ-যান চলাচলের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে এটাকে এখন ১২ দশমিক ২ মিটার উচ্চতায় নির্মাণ করতে হবে। এ ব্যাপারে কাজ চলছে।
আজ শনিবার দুপুরে পুরোনো রেলস্টেশন এলাকায় প্রস্তাবিত রেলওয়ে কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের জায়গা পরিদর্শনে এসে সিআরবি’তে হাসপাতাল নির্মাণের সিদ্ধান্তের অগ্রগতি সম্পর্কে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
রেলপথমন্ত্রী বলেন, “সিআরবি’তে হাসপাতাল হবে, কি হবে না, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। এখানে রেলওয়ের আর কোনো মতামত দেয়ার সুযোগ নেই।”
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিদ্ধান্তক্রমে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) চুক্তির আওতায় সিআরবি’তে হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। ফলে এ বিষয়ে রেলওয়ে বা রেলপথ মন্ত্রণালয়ের কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়ারও সুযোগ নেই।
মন্ত্রী বলেন, ‘হাসপাতালের নির্মাণের জন্য মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরুর পরপরই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। এসব অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। বিষয়টি এখন প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে। চট্টগ্রামের মন্ত্রী-এমপি ও নেতারা যদি সিআরবিতে হাসপাতাল না চান তারা প্রধানমন্ত্রীকে জানাবেন। তাঁরা না চাইলে প্রধানমন্ত্রীও চাইবেন না।’
‘চট্টগ্রামের রাজনৈতিক নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ সিআরবি’তে বঙ্গমাতার নামে হাসপাতাল না করে উদ্যান করার প্রস্তাব তুলেছেন’- এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বিষয়টি নিয়ে এ পর্যায়ে আমাদের বিকল্প কোনো প্রস্তাবনার সুযোগ নেই।
‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রুটে রেলের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বগি কখন দেওয়া হবে ?’-এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে বেশিরভাগ সময় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকছে। ট্রেন চালানো যাচ্ছে না। অর্ধেক আসনে যাত্রী ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে একমাত্র ট্রেনই চলাচল করছে। আর কোনও পরিবহন খাত এটি মানছে না। আমি চেষ্টা করছি দ্রুত ওই রুটে নতুন ট্রেন দেওয়ার। আমিও ছাত্রনেতা ছিলাম, তাই ছাত্রদের প্রতি ভালোবাসা, টান আমার বেশি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রেলমন্ত্রী চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের চলমান প্রকল্প ও কাজ তদারকি করতে যান। ফেরার পথে স্টেশনের বাইরে পার্কিংয়ে অবৈধ ট্রাক এবং ময়লা আবর্জনা তার নজরে আসে। পরে কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে বসে তিনি পার্কিংয়ের আয়-ব্যয়ের হিসেব জানতে চান। সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারায় মন্ত্রী তাৎক্ষণিক বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক শামস মো. তুষার ও স্টেশন ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরীকে দায়িত্বে অবহেলার কারণে সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ দেন।