প্রাইম ডেস্ক »
ঢাকা: মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের প্রতি বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করেছেন কারিতাস ইন্টারন্যাশনালিজের সেক্রেটারি জেনারেল ড. আলোয়সিয়াস জন। তিনি বিশ্বজুড়ে মানব উন্নয়নে সহায়তা করা ১৬২টি সদস্য সংস্থার কনফেডারেশন ‘কারিতাস ইন্টারন্যাশনালিজের’ অন্যতম নেতৃত্বদাতা।
বাংলাদেশ সফরে আসা আলোয়সিয়াস জন সম্প্রতি কক্সবাজার জেলায় আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত নাগরিকদের বিভিন্ন ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। তিনি সেখানে কারিতাসের কার্যক্রমও দেখেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা জানাতে ঢাকা রির্পোটার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে আসেন।
আলোয়সিয়াস জন বলেন, ‘আমার বাংলাদেশ সফরের উদ্দেশ্য হচ্ছে, রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ মিয়ানমারের বাস্তচ্যুত নাগরিকদের প্রতি যে উদারতা দেখিয়েছে তার সাথে একাত্মতা প্রকাশ করা। একইসঙ্গে কারিতাস বাংলাদেশ যেভাবে সেবা নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে সেটার সঙ্গেও একাত্মতা প্রকাশ করা।’
কারিতাস বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে শামিল হওয়াও অন্যতম উদ্দেশ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কারিতাস বাংলাদেশে স্বাধীনতার সূচনালগ্ন থেকে দরিদ্র জনগণের জন্য সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যাচ্ছে। আমি ১৯৯২ সাল থেকে কারিতাস বাংলাদেশ সম্পর্কে জানি। যে কোনো দুর্যোগে সহায়তা দেয়ার যে সক্ষমতা এই সংস্থার আছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়।’
সংবাদ সম্মেলনে কারিতাস এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ড. বেনেডিক্ট আলো ডি রোজারিও, কারিতাস বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক সেবাষ্টিয়ান রোজারিও, পরিচালক (কর্মসূচি) জেমস্ গোমেজ এবং পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) যোয়াকিম গমেজ।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সফরে আসা কারিতাস ইন্টারন্যাশনালিজের সেক্রেটারি জেনারেল ওইদিন শহিদ মিনারে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কর্মসূচি শুরু করেন। কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের পাশাপাশি তিনি এনজিও ব্যুরোর মহাপরিচালক কে এম তারিকুল ইসলাম, ভাটিকানের রাষ্ট্রদূত আর্চবিশপ জর্জ কোচেরী, বাংলাদেশের কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি রোজারিও, ঢাকার আর্চবিশপ বিজয় এন ডি ক্রুজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ২৬ ফেব্রুয়ারি তিনি বাংলাদেশ থেকে ফিরে যাবেন।
কারিতাস ইন্টারন্যাশনালিজের সদর দফতররোমে। কার্ডিনাল লুইস আন্তনিও গোকিম তাগ্লে প্রেসিডেন্ট ও আলোয়সিয়াস জন সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে সংগঠনটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এর মধ্যে ভারতীয় বংশোদ্ভূত আলোয়সিয়াস বর্তমানে ফ্রান্সের নাগরিক। ১৯৮৩ সালে তিনি কারিতাসে কর্মজীবন শুরু করেন।