সোমবার, অক্টোবর ৭, ২০২৪
spot_img
Homeএই মুহুর্তেপ্রমোদতরী আগুন, আতঙ্কে ফিরে এল যাত্রীরা

প্রমোদতরী আগুন, আতঙ্কে ফিরে এল যাত্রীরা

প্রাইম ডেস্ক »

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপ যাওয়ার পথে মধ্যরাতে বঙ্গোপসাগরে চলন্ত অবস্থায় আগুন ধরে যাওয়া প্রমোদতরী ‘বে ওয়ান ক্রুজ’ অবশেষে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ওয়াটার বাস টার্মিনালে পৌঁছেছে। রুদ্ধশ্বাস রাত পার করার পর শুক্রবার দুপুরে উদ্ধারকারী জাহাজ ‘কান্ডারী-১০’ বে ওয়ান জাহাজটিকে টেনে চট্টগ্রামে নিয়ে আসে। জাহাজে থাকা যাত্রীদের উদ্বিগ্ন স্বজনরা সকাল থেকে পতেঙ্গায় অপেক্ষা করছিলেন।
জাহাজের যাত্রী মানবাধিকারকর্মী আমিনুল হক বাবু জানান, বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১০টায় পতেঙ্গা থেকে জাহাজটি চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ছেড়ে যায়। রাত সোয়া ১২টার দিকে আমরা কেবিন থেকে ধোঁয়ার গন্ধ পেয়ে বের হই। ছাদে গিয়ে প্রচুর ধোঁয়া দেখেছি। তখন আতঙ্কে যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করছিল। রাত পৌনে ১টার দিকে জাহাজের ইঞ্জিন বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর ধোঁয়া কমে গেছে। সকাল পর্যন্ত জাহাজটি মাঝ সাগরে নোঙর করা ছিল। পরে উদ্ধারকারী জাহাজ আসে। সকাল ৯টার পর থেকে ‘কান্ডারী-১০’ বে ওয়ান জাহাজটিকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়।
বে ওয়ানের চট্টগ্রাম অফিসের প্রকৌশলী মইন উদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১২টা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যে জাহাজের ইঞ্জিনরুমে আগুন লাগে। জাহাজে প্রশিক্ষিত লোকজন ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকায় ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। আগুনে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি, যাত্রীরা নিরাপদে জাহাজেই ছিলেন।
সী ক্রুজ অপারেটর ওনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (স্কোয়াভ) এর সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইঞ্জিন থেকে অতিরিক্ত মোবিল নির্গত হওয়ার কারণে ঘন ধোঁয়া বের হয়। ধোঁয়া বেশি বের হতে লাগলে জাহাজ কর্তৃপক্ষ ইঞ্জিনের সমস্ত কাজ বন্ধ করে রাখে। এতে পর্যটকরা ভয় পান।
প্রসঙ্গত, জাপান থেকে আমদানি করা জাহাজটি অন্তত ২৯ বছরের পুরনো। প্রায় চার বছর আগে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়া এক সময়ের সালভিয়া মারুকে মেরামত করে ‘বে ওয়ান ক্রুজ’ নাম দিয়ে চট্টগ্রাম থেকে সেন্টমার্টিন রুটে চালু করা হয়।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

পাঠক প্রিয়