প্রাইম ডেস্ক »
পুঁজিবাজারের মধ্যস্থতাকারী ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের নেগেটিভ ইকুইটি-সংক্রান্ত ঐচ্ছিক সুবিধার মেয়াদ আরেক দফায় বাড়িয়ে আগামী বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ নিয়ে সপ্তমবারের মতো মেয়াদ বাড়ানো হলো। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গতকাল মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি জানায় কমিশন।
সম্প্রতি নেগেটিভ ইকুইটির পরিমাণ ও সংখ্যা-সংক্রান্ত ভিন্ন ভিন্ন তথ্য এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিজ নিজ নেগেটিভ ইকুইটি শূন্যে নামিয়ে আনতে বিএসইসি নির্দেশ দিয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রচারিত হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি স্পষ্ট করে গতকাল এ বিজ্ঞপ্তি দেয় কমিশন। বিজ্ঞপ্তিতে কমিশন বলছে, ২০২০ সালের জানুয়ারির পর কমিশন থেকে নেগেটিভ ইকুইটি নিয়ে আর কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। তবে এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত খবরে মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে, যা পুঁজিবাজারের উন্নয়নে অন্তরায়।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পুঁজিবাজারের নেগেটিভ ইকুইটি বা ঋণাত্মক মূলধনের সমস্যা সমাধানে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ফলে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান বিগত সময়ে নেগেটিভ ইকুইটি অ্যাকাউন্টের সব শেয়ার বিক্রি করে ও মূল কোম্পানি থেকে তার সাবসিডিয়ারিকে বাড়তি মূলধনের জোগান দিয়ে এ সংকট থেকে বের হয়ে এসেছে। তবে অল্প কিছু প্রতিষ্ঠান এখনো নেগেটিভ ইকুইটি সমস্যা থেকে বের হতে পারেনি। কমিশন আশা করে স্বল্পতম সময়ে বাকি থাকা বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান উল্লেখিত সমস্যার সমাধান করতে পারবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, বিএসইসি পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিনেন্স, ১৯৬৯-এর সেকশন ২০-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে স্টক ডিলার হিসাব, স্টক ব্রোকারের মার্জিন হিসাব ও মার্চেন্ট ব্যাংকারের নিজস্ব ও মক্কেলের পোর্টফোলিও পুনর্মূল্যায়নজনিত অনাদায়কৃত ক্ষতির বিপরীতে রক্ষিতব্য প্রভিশন-সংক্রান্ত ঐচ্ছিক সুবিধার মেয়াদ সপ্তমবারের মতো আগামী বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করেছে। পুঁজিবাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এ সময় বাড়ানো হয়েছে বলেও জানায় কমিশন।