প্রাইম ডেস্ক »
চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেনের অবৈধ চালান আটকের ঘটনায় দায়ের করা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
বুধবার চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল ইসলাম ভূঁইয়ার আদালতে ওই মামলায় তিনজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। ৩০ মার্চ মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত। গত ৭ ফেব্রæয়ারি আদালতে ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়।
সাক্ষ্য দেওয়া তিনজন হলেন- শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের তৎকালীন উপ-পরিচালক মশিউর রহমান ও সহকারি পরিচালক ওমর ফারুক এবং চট্টগ্রাম বন্দরের বেসরকারি বার্থ অপারেটর সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপক মো. মোশাররফ হোসেন। একই সাক্ষীরা একই ঘটনায় দায়ের হওয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায়ও এদিন সাক্ষ্য দেন।
চট্টগ্রাম মহানগর পিপি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী জানান, চট্টগ্রাম বন্দরে আলোচিত কোকেন জব্দ করার ঘটনায় চোরাচালানের মামলায় তিনজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। একই আদালতে একই সাক্ষীরা মাদক আইনে দায়ের হওয়া মামলায়ও সাক্ষ্য দিয়েছেন। ৩০ মার্চ পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা করেছেন আদালত।
সাক্ষী মশিউর রহমান ও ওমর ফারুক তিন আসামিকে আটক করে মামলার তদন্তকারী সংস্থা নগর গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. কামরুজ্জামানের কাছে হস্তান্তর করেছিলেন। সাক্ষ্যে তারা কোকেন আমদানির সঙ্গে তিনজনের জড়িত থাকার তথ্যপ্রমাণ ও এর ভিত্তিতে তাদের আটকের বিষয় তুলে ধরেন।
তাছাড়া কোকেন নিয়ে সিঙ্গাপুর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা জাহাজ থেকে কনটেইনার খালাসের নথিপত্র জব্দের সময় উপস্থিত সাক্ষী হিসেবে মোশাররফ হোসেন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
এই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামিদের মধ্যে গোলাম মোস্তফা সোহেল, মোস্তফা কামাল ও আতিকুর রহমান কারাগারে আছেন। জামিনে আছেন সাইফুল ইসলাম ও একেএম আজাদ। আসামি নুর মোহাম্মদ, ফজলুর রহমান, বকুল মিয়া, মোস্তাক আহমেদ ও মেহেদী আলম পলাতক আছেন।
২০১৫ সালের ৬ জুন কোকেন সন্দেহে সূর্যমুখী তেলের চালান জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। ২৭ জুন ১০৭টি ড্রামের মধ্যে একটির নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়। বলিভিয়া থেকে আসা চালানটির প্রতিটি ড্রামে ১৮৫ কেজি করে সূর্যমুখী তেল ছিল।
পরবর্তীতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাসায়নিক পরীক্ষাগারসহ চারটি পরীক্ষাগারে তেলের চালানের দুটি ড্রামের (৯৬ ও ৫৯ নম্বর ড্রাম) নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়।
চালানটি উরুগুয়ের মন্টিভিডিও থেকে জাহাজীকরণ করা হয়েছিল, যা পরবর্তীতে সিঙ্গাপুর হয়ে আসে চট্টগ্রাম বন্দরে। এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৭ জুন বন্দর থানায় মাদক ও চোরাচালান আইনে মামলা হয়।