প্রাইম ভিশন ডেস্ক »
২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফাইনালে খেলেছিল পাকিস্তান। ইংল্যান্ডের কাছে হেরে শিরোপা খোয়ানো দলটি এবারও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়েই বিশ্বকাপ অভিযানে নেমেছে। তবে ম্যান ইন গ্রিনদের বিশ্বকাপ যাত্রা প্রায় ফুরিয়েই এসেছে তা বলাই যায়। এবারের আসরে প্রথম ম্যাচেই যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হারে দলটি। এরপর গতকাল লো স্কোরিং ম্যাচে ভারতের দেয়া ১২০ রান তাড়া করে শেষ পর্যন্ত হেরেই গেছে বাওর-রিজওয়ানরা।
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে গতকাল আগে বল করতে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন পাকিস্তানি বোলাররা। তারকায় ঠাসা ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপকে আঁটসাঁট বোলিংয়ে আটকে রেখেছিলেন নাসিম শাহ-মোহাম্মদ আমির-হারিস রউফরা। ফলে ১১৯ রান করেই অল আউট হয় রোহিত শর্মার দল।
তবে নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১২০ রান তাড়া করেও জিততে পারেনি পাকিস্তান। ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারতীয় বোলারদের বাঁধা টপকাতে পারেননি বাবররা। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন রিজওয়ান-ফখর জামান-ইফতিখার আহমেদ-ইমাদ ওয়াসিমরা। ফলে শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান করতে পারে ম্যান ইন গ্রিনরা।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হারের পর ভারতের কাছেও ৬ রানে হারায় সুপার এইটের পথ কার্যত কঠিন হয়ে পড়েছে পাকিস্তানের জন্য। একই গ্রুপ থেকে সরাসরি শেষ আটে খেলার নিশ্চিত ভারতের। দ্বিতীয় দল হিসেবে ভারতের সঙ্গে যোগ দেয়ার সম্ভাবনা বেশি যুক্তরাষ্ট্রের।
এ গ্রুপে দুই ম্যাচ খেলে দুইটিতে হারা পাকিস্তানের পয়েন্ট এখন ০। একই অবস্থা আয়ারল্যান্ডেরও। তবে নেট রান রেটে পিছিয়ে থাকায় পাকিস্তান আছে চার নম্বরে, আর আইরিশরা একেবারে তলানিতে। এদিকে দুই ম্যাচের দুইটিতেই জিতে ভারতের পর দুইয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র।
ভারতের কাছে হারের পর পাকিস্তানের সুপার এইটে খেলা অলিখিত ভাবে নিশ্চিত হলেও কাগজে-কলমে এখনো দলটির সুযোগ আছে শেষ আটে যাওয়ার। সেক্ষেত্রে বাবরদের বাকি থাকা দুই ম্যাচ অর্থাৎ, আয়ারল্যান্ড এবং কানাডার বিপক্ষে অবশ্যই জিততেই হবে, এবং রান ড়েটও বাড়িয়ে নিতে হবে।
বাকি দুই ম্যাচ শুধু জিতলেই যে শেষ আটে খেলা নিশ্চিত হবে তাও নয়, একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের হারও কামনা করতে হবে। ভারত এবং আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দুইটি যুক্তরাষ্ট্র হারলে পাকিস্তানের সমান ৪ পয়েন্ট হবে সহ-আয়োজক দলটির। সেক্ষেত্রে যে দল নেট্রান রেটে এগিয়ে থাকবে সে দলই যাবে শেষ আটে। ফলে শুধু জয়ই নয়, নেট রান রেট বাড়িয়ে নেয়ার ভাবনা মাথায় নিয়েই খেলতে হবে বাবরদের। একই সঙ্গে কানাডা যেন আর কোনো ম্যাচ না জিতে সে কামনাও করতে হবে।