প্রাইম ডেস্ক »
বহুমাত্রিক লেখক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলায় জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) চার জঙ্গিকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া চার জঙ্গি হলেন মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ, আনোয়ারুল আলম ওরফে ভাগনে শহীদ, সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন ও নূর মোহাম্মদ ওরফে শামীম।
চারজনের মধ্যে জেএমবির শুরা সদস্য মিজানুর ও আনোয়ারুল কারাগারে আছেন। সালেহীন ও নূর মোহাম্মদ পলাতক।
গত ২৭ মার্চ ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আল-মামুন রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।
মামলা ও আদালতের নথিপত্র অনুযায়ী, ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে অমর একুশে বইমেলা থেকে ফেরার পথে হুমায়ুন আজাদকে কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যায় জঙ্গিরা। এ ঘটনায় পরদিন তাঁর ভাই মঞ্জুর কবির রমনা থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। বিদেশে উন্নত চিকিৎসা শেষে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর একই বছরের ১২ আগস্ট জার্মানিতে মারা যান হুমায়ুন আজাদ। এরপর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।
মামলাটি তিন বছর তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ১৪ জানুয়ারি পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ২০০৯ সালের ৭ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলার বিচার শুরু হয়। এ মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে একজন বেঁচে নেই। তার নাম হাফিজ মাহমুদ।
হামলার একদিন পর তার ভাই মঞ্জুর কবির বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে রমনা থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন।
২০১২ সালের ১০ সেপ্টেম্বর আদালত চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
হামলার তিন বছর পর ২০০৭ সালের ১৪ নভেম্বর সিআইডির পরিদর্শক কাজী আবদুল মালেক পাঁচজনকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করেন।
২০০৯ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকার একটি আদালত হমায়ুন আজাদের ভাই মঞ্জুর কবিরের একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি আরও তদন্তের নির্দেশ দেন।
পুনঃতদন্তের পর সিআইডি ৫ জেএমবি নেতাকে অভিযুক্ত করে একটি নতুন চার্জশিট দাখিল করে এবং ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল এটিকে হত্যা মামলায় পরিণত করতে আদালতে আবেদন করে।