প্রাইম ডেস্ক »
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) থেকে নিয়োগ সুপারিশ পাওয়া শিক্ষকদের নিয়োগ জটিলতা, ৩৫ বছরের বেশি বয়সের শিক্ষকদের যোগদান ও ইনডেক্সধারীদের এমপিও জটিলতা সমাধানে আর কোনো বাধা থাকছে না।
তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগের সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের এমপিওভুক্তিসহ বিদ্যমান কয়েকটি সমস্যা নিয়ে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সঙ্গে বৈঠক করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এতে ৩৫ বছরের অধিক বয়সীদের নীতিমালা অনুযায়ী যোগদানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া যেসব পদে কেউ যোগদান করেনি সেসব পদে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এমপিও নীতিমালায় সব বিভাগে সমন্বয় করা হবে। যে কোনো বিভাগে নিবন্ধনধারী হলে তিনি অন্য বিভাগে গেলে নতুন করে এমপিও করতে হবে না।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান, সচিব ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেন শিক্ষামন্ত্রী।
জানা গেছে, গত জানুয়ারি মাসে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৩৪ হাজার শিক্ষককে সুপারিশপত্র দেয় এনটিআরসিএ। এসব শিক্ষক নিজ নিজ স্কুলে যোগদান করেই গত ফেব্রুয়ারি মাসে এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করেন। কিন্তু ২০২১ সালের সংশোধিত এমপিও নীতিমালায় বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা হবে ৩৫ বছর।
ফলে ৩৫ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষকদের এমপিওর আবেদন বাতিল করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদফতরের আঞ্চলিক শিক্ষা কার্যালয়। এতে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ পেয়েও সাত হাজার শিক্ষকের এমপিও নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। চার মাস ধরে তারা বিনা বেতনে শিক্ষকতা করছেন।
এর আগে নতুন শিক্ষকরা কবে এমপিওভুক্ত হতে পারবেন সে বিষয়ে সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গত বছর সভা করে এর আগ পর্যন্ত এনটিআরসিএর সব সমস্যা নিরসন করেছিলাম। এখন আবার কিছু নতুন ইস্যু এসেছে। আমরা সেগুলো দেখছি।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের এমপিও নীতিমালায় বয়সের যে কাঠামো দেওয়া আছে, সেটার সঙ্গে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী যারা চাকরি পেয়েছেন, তা মিলছে না। তবে যেহেতু আদালতের নির্দেশনা আছে, আমরা সেই নির্দেশনার মধ্যে তাদের নিয়ে আসবো। অনেকের আবার কাগজপত্রেও সমস্যা থাকে।
কাজেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে তো দেওয়া সম্ভব না। আমরা বিষয়গুলোর সমাধান করব। খুব শিগগির এসব বিষয় নিয়ে এনটিআরসিএর সঙ্গে আলোচনায় বসবো।