প্রাইম ডেস্ক »
ইউক্রেনের যুদ্ধবিধ্বস্ত শহর মারিওপোলে আটকে থাকা এক লাখ বেসামরিকের ভাগ্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একাই নির্ধারণ করতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন শহরের মেয়র ভাদিম বোইচেঙ্কো।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার তিনি দাবি করেন, স্যাটেলাইট ছবিতে ধরা পড়া গণকবরই প্রমাণ করে মৃতের সংখ্যা লুকাতে রাশিয়ানরা মরদেহ পুঁতে ফেলছে। খবর রয়র্টাস।
তিনি বলেন, এটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে এখনো যারা সেখানে আছে তাদের জীবন শুধু একজন ব্যক্তির হাতে – ভ্লাদিমির পুতিন। আর এ সময়ের পর যাদের মৃত্যু হবে তাদের সবাই তার হাতেই মরবে।
পুতিন বৃহস্পতিবার দাবি করেন, রুশ সেনারা মারিওপোল ‘স্বাধীন’ করেছে। তবে এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন মেয়র বোইচেঙ্কো। তিনি জানান, মারিওপোলকে স্বাধীন করার কোনো পরিকল্পনাই ছিল না রাশিয়ার। এটা ছিল ধ্বংসের পরিকল্পনা।’ তার ধারণা গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ বাহিনী ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর মারিওপোল শহরের ৯০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত কিংবা ধ্বংস হয়েছে।
বোইচেঙ্কো বলেন, আজ সব পর্যায়ে, আমরা শুধুমাত্র একটি বিষয় নিয়ে কথা বলছি – আমাদের যুদ্ধবিরতি দরকার, রুশ বাহিনীর হাতে বন্দি মারিওপোলের এক লাখ বাসিন্দাদের সম্পূর্ণ সরিয়ে নেয়া দরকার এবং আজভস্টলে থাকা সব মানুষকে মুক্ত করতে হবে।
রুশ বাহিনী মারিওপোলের বেশিরভাগ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করলেও ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদের একটি দল শত শত বেসামরিককে নিয়ে আজভস্টল স্টিল কারখানার বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছে। পুতিন তাদের আত্মসমর্পণ কিংবা মৃত্যু যেকোন একটা পথ বেছে নিতে বলেছেন। মেয়র বোইচেঙ্কো বলেন, সেনারা আত্মসমর্পণ করতে চায় না। তারা সরে যেতে চায় কেবল অস্ত্র সঙ্গে নিয়ে। তারা আমাদের মাতৃভূমি, আমাদের ইউক্রেন রক্ষা করে যেতে চায়।