রবিবার, ডিসেম্বর ৮, ২০২৪
spot_img
Homeএই মুহুর্তেবিএনপির নেতা মকবুল ৩ দিনের রিমান্ডে

বিএনপির নেতা মকবুল ৩ দিনের রিমান্ডে

প্রাইম ডেস্ক »

রাজধানীর নিউমার্কেটে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধা দেওয়া, মারধর ও ভাঙচুরের অভিযোগে করা মামলায় নিউমার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেনকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

আজ শনিবার ঢাকার মহানগর হাকিম মামুনুর রশিদ এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে শনিবার দুপুরের দিকে তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়। একই সঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানার পুলিশ পরিদর্শক হালদার অর্পিত ঠাকুর সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন।

মকবুল হোসেনের পক্ষে জামিনের আবেদন করেন আইনজীবীরা। আদালতে পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা এস আই শাফায়াত হোসেন জামিনের বিরোধিতা করে রিমান্ডে নেওয়ার যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর এবং তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি হত্যা মামলাসহ মোট চারটি মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে মকবুল হোসেনকে। ওই মামলায় আদালত তাঁর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গতকাল শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে মকবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

১৮ এপ্রিল দিবাগত রাত ১২টার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের সংঘর্ষ হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা চলে এই সংঘর্ষ। এরপর রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও ১৯ এপ্রিল সকাল ১০টার পর থেকে ফের দফায় দফায় শুরু হয় সংঘর্ষ, যা চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। দুজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাঁঁদের একজন একটি কুরিয়ার সার্ভিসের কর্মচারী নাহিদ, অন্যজন দোকান কর্মচারী।

পুলিশের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সংঘর্ষের সূত্রপাত নিউমার্কেটের ভেতরে থাকা ওয়েলকাম ও ক্যাপিটাল ফাস্টফুড নামের দুই দোকান কর্মচারীর দ্বন্দ্ব থেকে। সেই দোকান দুটি সিটি করপোরেশন থেকে মকবুলের নামে বরাদ্দ রয়েছে। রফিকুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম নামে দুজন এই দোকান চালাতেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মকবুল হোসেনের দোকান নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। তিনি এই সংঘর্ষে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। তিনিই এই মামলার এজাহারনামীয় ১ নম্বর আসামি। এ ঘটনার আরও উসকানিদাতা ও যারা জড়িত তাদের শনাক্ত করার জন্য রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।

সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করে। একটি মামলা বিস্ফোরক আইনে, অন্যটি পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে করা হয়। দুই মামলায় নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী, কর্মচারী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীসহ মোট ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়।

এ ছাড়া সংঘর্ষে নিহত নাহিদের বাবা মো. নাদিম হোসেন ও মুরসালিনের ভাই নুর মোহাম্মদ বাদী হয়ে নিউমার্কেট থানায় দুটি হত্যা মামলা করেন। এই চার মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৪০০ জনকে। মামলাগুলোর মধ্যে শুধু পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপির নেতা মকবুলসহ ২৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ মামলার বাদী নিউমার্কেট থানার পুলিশ পরিদর্শক ইয়ামিন কবীর।

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

পাঠক প্রিয়