প্রাইম ডেস্ক »
করোনার ওমিক্রন ধরনের উপধরন বিএ.২ শুধু যে দ্রুত ছড়ায় তা-ই নয়, বরং এর কারণে অসুস্থতার তীব্রতাও বেড়ে যায়। পাশাপাশি এই ভ্যারিয়েন্টটি কভিড-১৯ প্রতিরোধে আমাদের যেসব ব্যবস্থা রয়েছে, সেসব ব্যর্থ করে দিতেও সক্ষম বলে উঠে এসেছে এক গবেষণায়। খবর সিএনএন।
জাপানের একটি ল্যাব গবেষণা বলছে, এ উপধরনের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যেগুলো নভেল করোনাভাইরাসের পুরনো ধরন যেমন ডেল্টার মতো অসুস্থতা তৈরি করতে সক্ষম।
বিভিন্ন দেশে এখন শনাক্ত হচ্ছে এ ধরনে আক্রান্ত রোগী। ওমিক্রনের মতো এটিও কভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকার দ্বারা তৈরি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা এড়িয়ে যেতে পারে। বিএ.২ বেশকিছু চিকিৎসা প্রতিরোধীও। বর্তমানে ওমিক্রনের চিকিৎসায় ব্যবহূত মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি সোট্রোভিমাব প্রতিরোধী এ ধরন।
সাধারণত কোনো গবেষণা মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত হওয়ার আগে স্বতন্ত্র বিশেষজ্ঞদের দ্বারা যাচাই করা হয়। গত বুধবার সে রকম পিয়ার রিভিউ ছাড়াই বায়োআরক্সিভ সার্ভারে প্রিপ্রিন্ট স্টাডি হিসেবে এ গবেষণা প্রকাশ করা হয়।
ওহাইওর ক্লেভল্যান্ড ক্লিনিকের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান ড. ড্যানিয়েল হোয়াডস বলেন, হতে পারে মানুষের দৃষ্টিকোণ থেকে এটি বিএ.১ ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় ভয়াবহ। এটা আরো বেশি ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং আরো তীব্র অসুস্থতা তৈরি করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন এ উপধরনের ওপর নজর রাখছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ডিরেক্টর ড. রচেল ওয়ালেনস্কাই।
তিনি বলেন, উপধরন বিএ.২ যে আরেক উপধরন বিএ.১-এর তুলনায় বেশি তীব্র হবে তার কোনো প্রমাণ মেলেনি। দেশে ও বিদেশে যেসব ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ছে সেগুলোর দিকে নজর রাখছে সিডিসি। মানুষের মধ্যে সংক্রমণ কতটা তীব্র হচ্ছে তা বোঝার জন্য আমরা তথ্যের দিকে নজর রাখছি। এখানে যেসব তথ্য বলা হয়েছে সেগুলো সব ল্যাবে পাওয়া গেছে।
এটিও নভেল করোনাভাইরাসের অনেকগুলো মিউটেশনে পাওয়া একটি ভ্যারিয়েন্ট। এর জিনে মূল ওমিক্রনের তুলনায় কয়েক ডজন পরিবর্তন দেখা গেছে। গবেষক দলের প্রধান টোকিও ইউনিভার্সিটির গবেষক কেই সাটোর মতে, বিএ.২-কে ওমিক্রনের একটি উপধরন হিসেবে বিবেচনা করা উচিত হবে না। এর দিকে আরো গভীর দৃষ্টি রাখার প্রয়োজন আছে।