প্রাইম ডেস্ক »
কথায় আছে, রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন। কিন্তু রাগ উঠলে কি আর হার-জিতের বাণী মাথায় থাকে কারো? রাগ-ক্ষোভের বশে মানুষ কতোকিছুই না করে বসে। আখেরে এটি কারো জন্যই কি ভালো কিছু বয়ে আনে? আসলে রেগে গেল মানুষ কী কী ক্ষতি হতে পারে?
রক্তচাপ বেড়ে যায়
আমরা যখন রেগে যাই তখন হৃদস্পন্দন বেড়ে যায় এতে করে ধমনীতে রক্তচাপ বেড়ে যায় এবং টেস্টোস্টেরন ক্ষরণ বৃদ্ধি পায়। টেস্টস্টেরনের কাজ হচ্ছে আমাদের উত্তেজিত করে তোলা। অপরদিকে মস্তিষ্কের বাম হেমিস্ফিয়আর হতে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের নিঃসরণ কমে যায়।এতে করে আমাদের উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় এবং আমরা জোরে কথা বলি।
হতে পারে মৃত্যুও
অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় রাগ একটি স্বাভাবিক আবেগ হলেও এর প্রকাশ যদি অনিয়ন্ত্রিত বা অন্যের জন্য ক্ষতিকারক অথবা অপ্রীতিকর হয়। এটি নিঃসন্দেহে অগ্রহণযোগ্য। রাগের কারণে সম্পর্কের বিচ্ছেদ, বড় ধরনের শারীরিক ক্ষতি, অঙ্গহানি বা এমনকি কারো মৃত্যুর খবরও উঠে আসে সংবাদমাধ্যমে।
কমিয়ে দিতে পারে দক্ষতা
অতিরিক্ত রাগ কমিয়ে দিতে পারে আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাপনের স্বাভাবিক দক্ষতা অথবা উৎপাদনশীলতা। বিঘ্ন ঘটায় সার্বিক জীবনছন্দে। রাগের কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কিন্তু ব্যক্তি নিজেই। দূরত্ব তৈরি হয় তার পারস্পরিক সম্পর্কে, কমে যায় এর গুণগত মান অথবা তার প্রতি অন্যদের সম্মানবোধ, আগ্রহ। হীনম্মন্যতা বা অপরাধবোধে আক্রান্ত হয় ব্যক্তি।
আয়ু কমিয়ে দেয়
রাগ মানুষের আয়ু কমিয়ে দেয়। গবেষণায় বলা হয়, সুখী মানুষ দীর্ঘদিন বাঁচে। সব সময় ক্ষেপে গেলে বা অল্পতেই রাগ করার প্রবণতা থাকলে আপনি কিন্তু নিজের সুখকেই নষ্ট করছেন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়
আপনি যদি সব সময় রেগে থাকেন বা স্বাভাবিকভাবে আচরণ করতে না পারেন, দেখবেন কেমন যেন দুর্বল লাগছে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, টানা ছয় ঘণ্টা মন-মেজাজ খারাপ থাকলে বা রেগে থাকলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এতে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ হয় শরীরে।