প্রাইম ডেস্ক »
চিনির দামে লাগাম টানতে শুল্ক কমিয়ে রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এতে আগামী ১৫ মে পর্যন্ত আমদানিকারকরা টনপ্রতি আগের হারে শুল্ক-কর দিয়ে অপরিশোধিত চিনি খালাস করতে পারবেন।
জানা গেছে, অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে ৩০ শতাংশ সংরক্ষণমূলক শুল্ক আরোপিত আছে। দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে গত বছরের অক্টোবরে এটি কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে এনবিআর।
ওই প্রজ্ঞাপনের মেয়াদ ছিল ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। গত জানুয়ারি চিনির সংরক্ষণমূলক শুল্ক ২০ শতাংশ বহাল রেখে প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতার মেয়াদ বাড়াতে একাধিকবার এনবিআরে চিঠি দেয় সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন।
চিঠিতে রোজায় চাহিদা বৃদ্ধি ও বর্ধিত জাহাজ ভাড়া বিষয় উলেখ করে বলা হয়, প্রজ্ঞাপনের মেয়াদ বাড়ানো না হলে অপরিশোধিত চিনি আমদানির প্রক্রিয়া ব্যয়বহুল হবে। এতে অভ্যন্তরীণ বাজারে চিনির দাম বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেবে।
বর্তমানে টনপ্রতি অপরিশোধিত চিনি আমদানি করতে ২২ হাজার ১৩৭ টাকা শুল্ক-কর দিতে হয়। এর মধ্যে শুল্ক ৩ হাজার টাকা, সংরক্ষণমূলক শুল্ক ৯ হাজার ৩২৮ টাকা, ভ্যাট ৮ হাজার ৮৪৫ টাকা, অগ্রিম আয়কর ৯৩২ টাকা এবং অন্য কর ৩০ টাকা।
এদিকে ২৪ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এনবিআরে চিঠি দিয়ে ভোজ্যতেলের ওপর ভ্যাট প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল প্রায় এক হাজার ৫৩০ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অপরিশোধিত পাম তেল প্রতি টন এক হাজার ৫০৮ ডলার ও পামওলিন এক হাজার ৫২০ ডলারে বিক্রি হচ্ছে, যা স্মরণকালের মধ্যে সর্বোচ্চ রেকর্ড।