প্রাইম ডেস্ক »
সময়ের সাথে সাথে ইউক্রেনে রুশ হামলার মাত্রা তীব্র হচ্ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। শান্তি চুক্তির জন্য তিন দফা বৈঠকেও কোনো সমঝোতায় আসেনি দুই দেশের প্রতিনিধিদল।
টানা ১৩ দিন ধরে ইউক্রেনে চলছে সংঘাত। রুশ কর্তৃপক্ষ আবার বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদে সরে যাওয়ার সুযোগ দিতে অস্ত্রবিরতির কথা জানিয়েছে।
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের ১৩ দিনে রাজধানী কিয়েভের শহরতলি ইরপিনে রুশ সেনারা ক্রমাগত বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইউক্রেনের সুমি শহর এবং এর আশপাশের এলাকায় বিমান হামলায় বেশ কয়েকজন হতাহতের দাবি করে দেশটির এক সামরিক কর্মকর্তা।
এদিকে কিয়েভ, চেরনিহিভ, সুমি, খারকিভ শহরের নাগরিকদের নিরাপদে সরে যাওয়ার সুযোগ দিতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছে রুশ গণমাধ্যম।
যুদ্ধে জয়ী না হওয়া পর্যন্ত কিয়েভ না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
এ প্রসঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে নতুন করে আর সেনা নিয়োগ দেয়া হবে না। এছাড়াও বেসামরিক নাগরিকদের যুদ্ধে যোগদানে বাধ্য করা হবে না।
তিনি আরো জানিয়েছেন, নিয়োগকৃত সব সেনা অভিযানে অংশ নেবেনা। শুধুমাত্র যুদ্ধ অভিযানে দক্ষ সেনারা যুদ্ধক্ষেত্রে অংশ নেবে। নতুন করেও কোনো সেনা নিয়োগ দেয়া হবেনা। আমার বিশ্বাস যারা অভিযানে অংশ নিয়েছে তারা আমাদের দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বাত্মক চেষ্টা করবে।
অন্যদিকে ইউক্রেনে রুশ হামলার কারণে লাখ লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রয়েছে। খাবার ও পানি সংকটে মারিওপোলের হাজার হাজার মানুষ। চরম দুর্দশার মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত করছে ইউক্রেনবাসিরা।
এই পরিস্থিতিতে তেমন অগ্রগতি ছাড়াই কিয়েভ-মস্কো তৃতীয় দফা আলোচনা শেষ হয়েছে।
ক্রেমলিন বলছে, ইউক্রেন ন্যাটো বা অন্য কোনো জোটের অংশ হতে পারবে না। লুহানস্ক-দোনেৎস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবেও মেনে নিতে হবে। এসব শর্ত মেনে নিলে তাৎক্ষণিকভাবে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান বন্ধ করা হবে।
ইউক্রেনে রুশ হামলাকে কেন্দ্র করে দেশটির সরকারকে ৭০ কোটি ডলারের জরুরি তহবিল বরাদ্দ দিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক।
১৩ দিনের হামলা ইউক্রেন থেকে ১৭ লাখের বেশি মানুষ প্রতিবেশি দেশে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এদিকে ৩০০ ইউক্রেনীয়কে প্রবেশ করতে দেয়নি যুক্তরাজ্য।