প্রাইম ডেস্ক »
ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষের পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সোহরাওয়ার্দী ও শাহ আমানত হলে অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্র ও বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
চবির পুলিশ ফাড়ির ইনচার্য মো. মহিউদ্দীন সুমন সমকালকে বলেন, দুই হলে অভিযান দিয়ে ৫ টি রামদা, লোহার পাইপ, খালি কাচের বোতল উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।
সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসাবে ক্যাম্পাসে পরিচিত ‘সিক্সটি নাইন’ ও ‘এপিটাফ’।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার অর্থনীতি বিভাগের র্যাগ ডে অনুষ্ঠানের কনসার্টে অংশ নিয়ে বিবাদে জড়ায় ছাত্রলীগের এই দুই গ্রুপ।
এ ঘটনার জেরে বুধবার সন্ধ্যায় দুই পক্ষের নেতাকর্মীর সোহরাওয়ার্দী ও শাহ আমানত হলের সামনে অবস্থান নিয়ে ইটপাটকেল ও কাচের বোতল নিক্ষেপ করে। এসময় দুই পক্ষই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে বিরিয়ানির প্যাকেট না দেওয়ায় সোহরাওয়ার্দী হলের এক কর্মচারীকে মারধর করে ছাত্রলীগের তিন নেতা।
গত মাসের ২৪ তারিখ কর্মীকে আটকে রেখে র্যাগ দেওয়ার জেরে প্রায় এক কিলো মিটার দূরের আবাসিক হলে গিয়ে হামলা চালানো অভিযোগ উঠে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর অনুসারীদের বিরুদ্ধে।
হামলায় মাস্টারদা সূর্যসেন হলের ১২ টি কক্ষ পাশাপাশি বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটের ৩টি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়।
এই ঘটনায় ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন হলের প্রধ্যাক্ষ তড়িৎ কুমার বল।