প্রাইম ডেস্ক »
বহু নাটকীয়তার পর দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলবেন সাকিব আল হাসান। রবিবার রাতে দেশ ছাড়ার আগে এই অলরাউন্ডার কথা বলেছেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। সাকিব মনে করেন, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একটা জয় পেলেও দেশের ক্রিকেটের জন্য হবে বড় অর্জন।
সাকিব বলেন, ‘প্রত্যাশা তো থাকবেই যেন আমরা জিততে পারি।
সিরিজ জিততে পারলে খুবই ভালো। একটা ম্যাচও যদি জিততে পারি তাহলে মনে হয় ভালো সাফল্য হবে। পুরো দলেরই একই রকম লক্ষ্য থাকবে। সেভাবেই প্রস্তুতি নেব। অনেকটা স্বস্তি। দলের সঙ্গে থাকাটা সব সময়ই ভালো ব্যাপার, মজার ব্যাপার। শেষ ১৫ বছর ধরে আছি। সামনেও হয়তো থাকতে পারলে ভালো লাগবে। দলের সঙ্গে থাকাটাই সব সময় আনন্দের ব্যাপার। আশা করি দলের জন্য সবাই একটা ভালো রেজাল্ট আনতে পারব। ‘
আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্যাসেঞ্জার ছিলেন বলে দাবি করেছিলেন সাকিব। এই প্রসঙ্গে এবার তিনি বলেন, ‘ড্রাইভিং সিটে কে না থাকতে চায়! অনেক সময় জায়গার পরিবর্তন হলে মানসিক অবস্থারও পরিবর্তন হয়। আমি ওই আশাটাই করছি। আমি নিশ্চিত টিম মেট, ম্যানেজমেন্ট, কোচিং স্টাফ সবাই আমাকে অনেকভাবে সহযোগিতা করেছে। আশা করছি এবারও তারা একইভাবে সহযোগিতা করবেন। আমি চেষ্টা করবো সেটার প্রতিদান দিতে। কতোটা সাফল্য আছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ না। আমরা কতোটুকু করতে পারব সেটা গুরুত্বপূর্ণ। যেটা বললেন, দলীয় বা ব্যক্তিগতভাবে খুব বেশি কিছু কেউই করতে পারিনি আশানুরূপভাবে। এটা পরিবর্তন করার সুযোগ আমাদের আছে। সেটাই আমরা চেষ্টা করব। ‘
নিউজিল্যান্ড সফরে টেস্ট জিতেছিল বাংলাদেশ। সেটিও টাইগারদের অনুপ্রাণিত করবে বলে সাকিবের বিশ্বাস, ‘নিউজিল্যান্ডের মতো কঠিন জায়গায় আমরা যখন একটা ভালো ফল করে এসেছি সেটাও অন্য একটা ফরম্যাটে। আমিও মনে করি এটা আমাদের অনুপ্রাণিত করবে ওয়ানডে এবং টেস্ট দুটোতেই। আমি তো সব ফরম্যাটেই খেলতে যাচ্ছি। আমরা সিরিজ জিততে পারলে খুবই ভালো। যদি একটি ম্যাচও জিতি সেটাও একটা ভালো ফল হবে। ওখানে শেষ সিরিজ যেটা হয়েছে ভারতের সঙ্গে। দক্ষিণ আফ্রিকা খুবই ভালো খেলেছে। ওরা তিনটি ম্যাচই জিতেছে। আমাদের জন্য নিশ্চয়ই চ্যালেঞ্জ আছে।
আমাদের বোলিং বিভাগ খুব ভালো করতে হবে। আমরা হোমে ভালো বোলিং করি কিন্ত অ্যাওয়ে সিরিজে আমরা বোলিং বিভাগ স্ট্রাগল করি। সেই জায়গায় উন্নতির জায়গা আছে আমি মনে করি। পাশাপাশি আমাদের ব্যাটিং ভালো করতে হবে। বড় মাঠে আমাদের ফিল্ডিংটাও এক্সপোজ হয় অনেক সময়। তিন বিভাগকেই ভালো করতে হবে যদি ওদের সঙ্গে ভালো করতে হলে। ‘
বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার আরো বলেন, ‘পেসারদের জন্যও চ্যালেঞ্জিং। নতুন বলে ফাস্ট বোলাররা যদি উইকেট না নিতে পারে তাহলে স্পিনারদের জন্য আরো চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাবে। একজন আরেকজনকে যদি সাহায্য করতে পারি তাহলে কাজটা সহজ হয়ে যাবে। ‘
ব্যক্তিগত কোনো প্রত্যাশা আছে কিনা জানতে চাইলে সাকিব বলেন, ‘ব্যক্তিগত কোনো প্রত্যাশা কখনো ছিল না এখনো নেই।