প্রাইম ডেস্ক »
গত ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ বা গড় মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ, যা জানুয়ারিতে ছিল ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ৬ দশমিক ২২ শতাংশ হয়েছে, যা আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৬০ শতাংশ।
পরিসংখ্যান ব্যুরো বলেছে, চাল, আটা-ময়দা, চিনি, ব্রয়লার মুরগি, ডিম, পেঁয়াজ, সবজিসহ প্রায় সব ধরনের খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণই মূল্যস্ফীতি বাড়ার মূল কারণ।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) হালনাগাদ এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
বিবিএস জানিয়েছে, গ্রামে মূল্যস্ফীতির হার ৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ হলেও শহরে এ হার ৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
বিবিএসের জরিপের তথ্যমতে, ভোজ্যতেল, তেল ও ডিম খাদ্য খাতের মূল্যস্ফীতি বাড়িয়েছে। একমাসের ব্যবধানে ভোক্তাকে এক লিটার সয়াবিন তেলের দামে প্রায় ৯ টাকা বেশি দিতে হয়েছে। একমাসের ব্যবধানে বেড়েছে চিনির দাম। জানুয়ারিতে প্রতি কেজি চিনির দাম ছিল ৮৫ টাকা ১৫ পয়সা, যা ফেব্রুয়ারিতে বেড়ে হয়েছে ৮৬ টাকা ৮ পয়সা। ফেব্রুয়ারি মাসে প্রতি হালি ডিমের দাম ১ টাকা বেড়ে হয়েছে ৩৯ টাকা।
তবে ফেব্রুয়ারিতে খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতির হার কমে হয়েছে ৬ দশমিক ১০ শতাংশ, যা আগের মাস জানুয়ারিতে ছিল ৬ দশমিক ২৬ শতাংশ। মূলত একমাসের ব্যবধানে প্রসাধন সামগ্রী, জুতা, পরিধেয় বস্ত্র, বাড়ি ভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি পণ্য, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ এবং বিবিধ সেবা খাতে মূল্যস্ফীতির হার কমায় এ খাতেও মূল্যস্ফীতির হার কমেছে।