প্রাইম ভিশন ডেস্ক »
দুপুরে খাওয়ার পর একটুখানি ঘুমাতে কে না ভালোবাসেন? কিন্তু অনেকেই জানেন না দুপুরে ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি মন্দ? এই প্রশ্নের উত্তর জানলে আপনার স্বাস্থ্যের হাল ফিরবে নিশ্চিত।
জানলে অবাক হয়ে যাবেন ঘুমের সময় আমাদের শরীরে একাধিক ক্রিয়া চলে। যেমন ধরুন–
১. এই সময় মস্তিষ্ক নিজের দরকারি সব তথ্য ঠিকমতো গুছিয়ে নেয়। অপরদিকে সব অপ্রয়োজনীয় তথ্য ‘রিসাইকেল বিনে’ সরিয়ে রাখে।
২. শরীর এই সময় নিজেকে সারিয়ে তোলার কাজে ব্যস্ত থাকে। এমনকি এই সময়তেই দেহে বেশিরভাগ গঠনমূলক কাজ হয়।
৩. ঘুমের মাধ্যমেই কেটে যায় ক্লান্তি। পরবর্তী চ্যালেঞ্জের জন্য তৈরি হয় শরীর।
তাই সুস্থ-সবল জীবন কাটাতে চাইলে পর্যাপ্ত সময় ঘুমাতেই হবে। নইলে যে বিপদের শেষ থাকবে না।
দুপুরে কি ঘুমানো উচিত?
আমরা প্রকৃতিগতভাবে রাতে ঘুমাই এবং দুপুরে জেগে থাকি। এটাই আমাদের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। তবে আজকাল অনেকেই আবার রাতের বদলে দুপুর ২ থেকে ৩ ঘণ্টা ঘুমিয়ে নেন। আর এই ভুলটা করেন বলেই তাদের রাতে ঘুম আসতে চায় না। তাই তারা পরবর্তী সময়ে অনিদ্রার ফাঁদে পড়ে ঘুমের ওষুধ খান। সুতরাং এই ভয়াল সমস্যা এড়িয়ে চলতে চাইলে কোনওমতেই রোজকার রোজ দুপুরে ঘুমানো চলবে না।
পেট ভরে খাওয়া নয়
আমাদের মধ্যে অনেকেই পেট ভরে খাবার খান। আর সেই কারণে ব্রেনের বদলে পাকস্থলীতে রক্তচলাচল বাড়ে। যার ফলে খাওয়ার পরপরই চোখ ঘুমে ঢুলু ঢুলু হয়ে পড়ে। তাই খাওয়ার পর ঘুম এড়িয়ে চলতে চাইলে পেট ভরে খাওয়া চলবে না। তার পরিবর্তে পেটে সামান্য খিদে রেখে খান। আর চেষ্টা করুন দুপুরে খাবার খাওয়ার পর বিছানায় না বসার। আশা করছি, এই কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই আপনারা সুস্থ-সবল জীবন কাটাতে পারবেন।
দিনে কতক্ষণ ঘুম জরুরি
কোনও ব্যক্তি কী ধরনের কাজ করছেন, কতটা পরিশ্রম করছেন– এইসব বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করেই ঘুমের সময় ঠিক করা উচিত। তবে গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, কোনও মানুষের দিনে অন্ততপক্ষে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। ব্যস, এই কাজটা সেরে ফেললেই কিন্তু অনায়াসে শরীর ও স্বাস্থ্যের হাল ফেরাতে পারবেন। এমনকী একাধিক রোগবিরেত থাকবে দূরে। তাই আজ থেকেই এই নিয়ম মেনে ঘুমান।