প্রাইম ভিশন ডেস্ক »
কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে বর্তমানে যে এক দফা দাবিতে ছাত্রদের আড়ালে নিষিদ্ধ জামায়াত-শিবির ও বিএনপি মাঠে ধ্বংসযজ্ঞ ও সংহিসতা চালাচ্ছে এর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের সংস্কৃতিকর্মীরা। তবে কোটা সংষ্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত যত প্রাণহানি হয়েছে, সেসব হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার দাবিতে চট্টগ্রামের সর্বস্তরের সংস্কৃতিকর্মীরা ঐক্যমত পোষণ করে বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয় ছাত্রদের ন্যায্য দাবির পক্ষে শুরুর দিক থেকে অনেকেই সহমত পোষণ করে আসছিলেন। কিন্তু আন্দোলনের একটি পর্যায়ে ছাত্রদের নাম ভাঙ্গিয়ে এবং তাদের ব্যবহার করে কোটা সংস্কারের দাবি থেকে সরে গিয়ে একদফা দাবির আন্দোলনের নামে দেশে চরম অস্থিরতা, ভাংচুর, আগুন সন্ত্রাস, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধংস, বিটিভি জ্বালিয়ে দেয়া ও মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করায় সংস্কৃতিকর্মীরা তাদের এই দাবিকে অন্যায্য ও অন্যয় দাবি বলে অভিহিত করেন।
সরকার ছাত্রদের দাবি মেনে নিয়ে কোটা সংস্কার করে ইতিমধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এরপরও যারা নিরীহ ছাত্রদের নেপথ্যে থেকে ছাত্র আন্দোলনেকে রাজনৈতিক আন্দোলনের রূপ দেওয়ার জন্য ওঠেপড়ে লেগেছে, তারা মূলত একাত্তারের পরাজিত শত্রু। এতে দেশের সাধারণ ছাত্রদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও বিভ্রান্ত হতে শুরু করে। ফলে দেশব্যাপী সহিংসতা ও ভাংচুর করে দেশে অচলাবস্থা সৃষ্টি করেছে। তাই চট্টগ্রামের সর্বস্তরের সংস্কৃতিকর্মীরা আজ এই সহিংসতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ।
বিবৃতিদাতারা হচ্ছেন।
গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন এর সাইফুল আলম বাবু,মোসলেম উদ্দিন সিকদার। গ্রুপ থিয়েটার ফোরাম এর খালেদ হেলাল, মোঃ শাহ আলম,আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ এর রাশেদ হাসান, বিশ্বজিৎ পাল,হাসান জাহাঙ্গীর, আবৃত্তি জোটের অঞ্চল চৌধুরী, দীপেন চৌধুরী, ফারুক, মিলি চৌধুরী, গ্রুপ থিয়েটার ঐক্য পরিষদের সুচরিত টিংকু, নৃত্য শিল্পী সংসদ এর শুভ্রা সেনগুপ্তা, রাজশ্রী, নাট্যজন কুন্তল বড়ুয়া, সঞ্জীব বড়ুয়া, সুচরিত দাশ খোকন, অসিত দাশ পুলক, কংকন দাশ, আব্দুল হাদি, মোহাম্মদ আলী টিটু, সংগীত শিল্পী আলাউদ্দিন তাহের,সুজিত চক্রবর্তী, সংগঠক হালিম দোভাষ, ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া, মাসুদ বকুল, আর কে রুবেল, সজল চৌধুরী।