প্রাইম ডেস্ক »
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় আরো পাঁচজনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এ নিয়ে ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছে আদালত।
মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। এ সময় প্রদীপ কুমার দাশ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আগামী ২৭ এপ্রিল সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেছে আদালত।
সাক্ষ্য দেওয়া পাঁচজন হলেন- গৃহায়ণ ও গণপূর্তের প্রকৌশলী মো. নুরুল হুদা, চন্দিমা শীল, মাহমুদুল হাসান, জুলিয়ান সেতেরা এবং বিআরটিএর মোটরযান শাখার পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মাহমুদুল হক বলেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে গৃহায়ণ ও গণপূর্তের চার প্রকৌশলী এবং বিআরটিএর একজন কর্মকর্তা আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এর মধ্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্তের চার প্রকৌশলী প্রদীপের পাঁচলাইশ থানার ষোলশহরের সেমিপাকা ঘরগুলো পরিমাপের প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। বিআরটিএর কর্মকর্তা আদালতে দুটি গাড়ির প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৭ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। ২৭ এপ্রিল পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছে আদালত।
প্রদীপ কুমার দাশের আইনজীবী রতন চক্রবর্তী বলেন, প্রদীপের বিরুদ্ধে নতুন করে পাঁচজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আসামিপক্ষ থেকে তাদের জেরা করা হয়েছে।
৪ এপ্রিল চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালতে প্রদীপের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। প্রথম দিনে তিনজন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
২০২০ সালের ২৩ আগস্ট মামলাটি করেন দুদক জেলা সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন। গত বছরের ২৬ জুলাই রিয়াজ উদ্দিন এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে প্রদীপ ও চুমকির বিরুদ্ধে তিন কোটি ৯৫ লাখ পাঁচ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়।
পরে ২০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিনের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলার এজাহারে উল্লিখিত সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেয় আদালত।
এদিকে, দেড় বছরের বেশি সময় ধরে প্রদীপ কারাগারে থাকলেও দুদকের মামলা থেকে নিজেকে বাঁচাতে পলাতক রয়েছেন তার স্ত্রী চুমকি। মূলত প্রদীপ গ্রেফতারের পর থেকেই তার সন্ধান মেলেনি। চট্টগ্রাম নগরীর পাথরঘাটা এলাকায় নিজেদের গড়ে তোলা ‘লক্ষ্মী কুঞ্জ’ নামে বাড়িটিতে সন্তান নিয়ে থাকতেন তিনি। প্রদীপ গ্রেফতারের পর থেকেই বাড়িটিতে থাকছেন না তিনি। তবে কোথায় থাকেন জানেন না কেউ।