প্রাইম ভিশন ডেস্ক »
বাদ্যযন্ত্র বাজালে তরুণ থাকে মস্তিষ্ক। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব বয়স্ক ব্যক্তি বাদ্যযন্ত্র বাজান তারা শব্দ ও কথোপকথন বেশি কার্যকরভাবে প্রক্রিয়াকরণ করতে পারেন, যারা বাদ্যযন্ত্র বাজান না তাদের তুলনায়।
গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, সঙ্গীত প্রশিক্ষণ মস্তিষ্কে একটি ‘স্মৃতিকৌশল সংরক্ষণ’ বা ‘কগনিটিভি রিজার্ভ’ তৈরি করে, এটি একটি ব্যাকআপ সিস্টেম যা বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কার্যকারিতা বজায় রাখে।
গবেষকরা বলেন, ‘এমনকি অনেক বছর পরও, সঙ্গীতজ্ঞদের মস্তিষ্কে তরুণদের বৈশিষ্ট্য দেখা যায়।’
তারা আরও বলেন, সঙ্গীতমূলক কার্যক্রম স্নায়ু পথগুলোকে আরও স্থিতিশীল রাখে।
মস্তিষ্কের সংযোগ শক্তিশালী করা
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, বাদ্যযন্ত্র বাজানো মস্তিষ্কের এমন অঞ্চলগুলোর সংযোগকে শক্তিশালী করে যা শোনা, ভাষা ও চলাফেরার সঙ্গে সম্পর্কিত। এই সংযুক্তি সঙ্গীতজ্ঞদের জন্য জটিল বা হট্টগোলপূর্ণ পরিবেশে শব্দ ও কথোপকথন আলাদা করা সহজ করে।
তুলনামূলকভাবে, যেসব বয়স্ক ব্যক্তি সঙ্গীত প্রশিক্ষণ পাননি, তাদের মস্তিষ্ককে কথোপকথন ফিল্টার করতে ও মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করতে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি শক্তি ব্যয় করতে হয়।
পুরনো ধারণাকে চ্যালেঞ্জ
এই ফলাফল দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে যে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের শব্দ প্রক্রিয়াকরণের ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমে যায়। গবেষকরা সুপারিশ করছেন, সঙ্গীতের সঙ্গে যুক্ত থাকা এই অবনতিকে প্রতিরোধ করতে পারে।
প্রধান একজন বৈজ্ঞানিক বলেন, ‘সঙ্গীত কেবল একটি শিল্প নয় — এটি মস্তিষ্কের জন্য একটি ব্যায়াম।’
গবেষণার ফলাফল আরও প্রমাণ দিয়েছে, সঙ্গীত কগনিটিভ স্বাস্থ্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সাংস্কৃতিক ও আবেগগত মূল্য ছাড়াও, বাদ্যযন্ত্র শেখা বা বাজানো অব্যাহত রাখা মস্তিষ্ককে বয়সজনিত প্রভাব থেকে রক্ষা করার একটি শক্তিশালী উপায় হতে পারে।
সূত্র: সামাটিভি