প্রাইম ডেস্ক »
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে রকেট হামলায় বুধবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটিতে নোঙর করে রাখা বাংলাদেশের জাহাজ ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’। জাহাজে রকেট হামলার পর নাবিকরা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। জীবন বাঁচানোর জন্য তারা আকুতি জানিয়েছেন তারা।
একটি ভিডিও বার্তায় নাবিকরা জানিয়েছেন, তারা সবাই মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। জাহাজে পাওয়ার সাপ্লাই নেই। জরুরি পাওয়ার সাপ্লাই দিয়ে তারা চলছেন। সেটা বন্ধ হয়ে গেলে তাদের জাহাজে থাকাই কঠিন হয়ে যাবে।
বুধবার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টার দিকে) জাহাজটি হামলার কবলে পড়ে। এতে আগুন ধরে যায়। এসময় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান মৃত্যুবরণ করেছেন। তবে সবার তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে আগুন নিভাতে পেরেছে।
জাহাজটির সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার রবিউল আউয়াল এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, আমাদের জাহাজে রকেট হামলা হয়েছে। একজন মারা গেছেন। আমাদের জাহাজে পাওয়ার সাপ্লাই নেই। ইমার্জেন্সি পাওয়ার সাপ্লাইয়ে আমরা চলছি। আমরাও সবাই মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছি। দয়া করে আমাদের বাঁচান।
বিএসসি সূত্রে জানা যায়, সিরামিকের কাঁচামাল ‘ক্লে’ পরিবহনের জন্য জাহাজটি তুরস্ক থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরের জলসীমায় পৌঁছায়। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হয়ে যাওয়ায় ২৯ নাবিকসহ সেখানেই আটকা পড়ে জাহাজটি। ইউক্রেন থেকে সিরামিকের কাঁচামাল নিয়ে তাদের ইতালিতে যাওয়ার কথা ছিল।
তবে যুদ্ধাবস্থা এড়াতে জাহাজটিকে সেখানে পৌঁছানোর পরই পণ্য বোঝাই না করে দ্রুত ফেরত আসার জন্য নির্দেশনা দেন শিপিং করপোরেশনের কর্মকর্তারা। শেষ মুহূর্তে বন্দরের পাইলট না পাওয়ায় ইউক্রেনের জলসীমা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি বাংলাদেশের এ জাহাজ।
২০১৮ সালের আগে বিএসসির বহরে জাহাজ যুক্ত হয়েছিল ১৯৯১ সালে ‘এমভি বাংলার শিখা’।