প্রাইম ডেস্ক »
একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি ও রাজনীতিবিদ সাবেক সংসদ সদস্য কাজী রোজী আর নেই।
শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন। কাজী রোজীর মেয়ে সুমী সিকান্দার এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ৩০ জানুয়ারি তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। পরে তিনি স্ট্রোক করেন বলে সুমী সিকান্দার বাসসকে জানান।
১৯৪৯ সালের ১ জানুয়ারি সাতক্ষীরায় জন্মগ্রহণ করেন কাজী রোজী। তার বাবার নাম কাজী শহীদুল ইসলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে তিনি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি সরকারি চাকরিজীবী ছিলেন। ২০০৭ সালে তথ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা হিসেবে অবসর নেন। কবিতায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৮ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও ২০২১ সালে তিনি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদক লাভ করেন।
কাজী রোজী দশম জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী (আসন-৪৩) আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। দশম সংসদের গ্রন্থাগারসংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধী আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের চতুর্থ সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন কাজী রোজী।
কাজী রোজীর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ- পথঘাট মানুষের নাম (কাব্যগ্রন্থ), নষ্ট জোয়ার (কাব্যগ্রন্থ), আমার পিরানের কোনো মাপ নেই (কাব্যগ্রন্থ), লড়াই (কাব্যগ্রন্থ), শহীদ কবি মেহেরুন নেসা (জীবনী গ্রন্থ), রবীন্দ্রনাথ : রসিকতার কবিতা (গবেষণা গ্রন্থ)।
কবিতার পাশাপাশি গানও লিখেছেন কাজী রোজী। মাইলসের ‘প্রথম প্রেমের মতো’, প্রবাল চৌধুরীর গাওয়া ‘ভালোবেসে করবো আপন আরও আপন’- এর মতো বেশ কিছু গানের রচয়িতা কাজী রোজী গীতিকবি সংঘের আজীবন সদস্য ছিলেন।
কাজী রোজীর মেয়ে সুমী সিকান্দার জানান, তার মরদেহ সেগুনবাগিচার বাসভবনে আনা হয়েছে। তাকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।