প্রাইম ডেস্ক »
ফরচুন বরিশালের পর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অষ্টম আসরের ফাইনালে উঠেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। সুনীল নারিনের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে প্রতিপক্ষ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা। এদিন বিপিএলের ইতিহাসের দ্রুততম অর্ধশতক তুলে নেন সুনীল নারিন। ১৬ বলে ৫৭ রান করে নারিন ফিরলেও দলের জয়ের ভিত্তি গড়ে দিয়ে যান। চট্টগ্রামের দেওয়া ১৪৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৪৩ বল এবং ৭ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় ভিক্টোরিয়ান্সরা। আগামী শুক্রবার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে মাঠে নামবে ইমরুল কায়েস বাহিনী।
১৪৯ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই ওপেনার লিটন দাসকে হারায় কুমিল্লা। তবে নারিনের মারমুখি ব্যাটিংয়ে সেটার কোন প্রভাবই পড়েনি। ওই ওভারের শেষ পাঁচ বলেই তুলে নেন ২০ রান। সুনিল নারিনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লের ছয় ওভারেই ৮৯ রান তুলে কুমিল্লা। নারিন ১৬ বলে ৫৭ রান করে আউট হন। এরপর ২২ রানে সাজঘরে ফেরেন ইমরুল কায়েস।
তিন উইকেট হারানোর পর মঈন আলি এবং ফাফ ডু প্লেসিস মিলে দলকে জয় উপহার দিয়েই মাঠ ছাড়েন। এ সময় দুজন মিলে গড়েন অপ্রতিরোধ্য ৫৪ রানের জুটি। দুজনই ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করেছিল চট্টগ্রাম। তবে চতুর্থ ওভারে এসে ছন্দ পতন চ্যালেঞ্জার্সের। উইল জ্যাকসের বিদায়ে খাপছাড়া হয়ে পড়ে চট্টগ্রামের ব্যাটিং। সাজঘরে ফেরার আগে ৯ বলের মোকাবেলায় ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৬ রান করেন জ্যাকস।
এরপর একে একে সাজঘরে ফেরেন চ্যাডউইক ওয়ালটনন, ওপেনার জাকির হাসান, শামীম হোসেন পাটোয়ারি ও অধিনায়ক আফিফ। তাদের মধ্যে দুই অঙ্কের দেখা পেয়েছেন জাকির (১৯ বলে ২০ রান) ও আফিফ (১০ বলে ১০ রান)।
অষ্টম ওভারের শেষ বলে, মাত্র ৫০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে বন্দরনগরীর দলটি। তখন দলের হাল ধরেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও আকবর আলী। ষষ্ঠ উইকেটে দুজনে গড়েন ৬১ রানের পার্টনারশিপ। ২টি করে চার-ছক্কায় ২০ বলে ৩৩ রান করে আকবর বিদায় নিলে ভাঙে পার্টনারশিপ। এই দুইয়ের লড়াইয়ে ১৪৮ রানের পুঁজি পেয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এ ছাড়া জাকির হাসান ২০, উইল জ্যাকস ১৬ ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী শেষে দিকে ১৫ রান করেন। কুমিল্লার হয়ে ৩ উইকেট করে নেন শহিদুল ইসলাম ও মঈন আলী।