প্রাইম ভিশন ডেস্ক »
অতীব প্রয়োজনের সময় দেশ সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে না পাওয়া দুর্ভাগ্য বলে মনে করছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নাজমুল হাসান পাপন।
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে বাজে পারফরমেন্সের পর ঘরের মাঠে শ্রীলংকার বিপক্ষে আসন্ন সিরিজের জন্য যখন প্রস্তুত হচ্ছিলো বাংলাদেশ, তখনই ধাক্কা খেল বাংলাদেশ।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে লংকানদের বিপক্ষে ১৫ মে থেকে শুরু হওয়া প্রথম টেস্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন সাকিব। কারন করোনা প্রটোকল অনুসারে সাত দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে সাকিবকে।
এর আগে, পারিবারিক কারনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে খেলতে পারেননি সাকিব।
পাপন জানান, সাকিবকে ছাড়া টিম কম্বিনেশন তৈরি করা সবসময়ই কঠিন। কারণ টু ইন ওয়ান খেলোয়াড় সাকিব।
আজ জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার অনুষ্ঠানে সংবাদমাধ্যমকে পাপন বলেন, ‘সে দলে না থাকলে আমাদের একজন অতিরিক্ত ব্যাটার এবং একজন অতিরিক্ত বোলার দরকার পড়ে। এজন্য আমাদের দলের কম্বিনেশনে সমস্যা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা আমাদের দুর্ভাগ্য, আমাদের যখন তাকে খুব দরকার হয়, আমরা তখন তাকে পাই না। কিন্তু কখনো-কখনো আমরা সবকিছু নিয়ন্ত্রন করতে পারি না। সাকিবের বিষয়টা এমন যে, আমাদের কিছুই করার নেই। আমাদের প্রটোকল মানতে হবে। আশা করছি, সে দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠবে।’
সাকিবের শারীরিক অবস্থা নিয়ে পাপন জানান, ভালো বিষয় হচ্ছে সাকিব সুস্থ আছে এবং তার কোন বড় লক্ষণ নেই।
পাপন বলেন, ‘আমি গতকাল তার সাথে কথা বলেছি, সে বলেছে, এখন ভালো আছে। এই মুহূর্তে কোন সমস্যা নেই তার। আমরা কয়েক দিনের মধ্যে আবার পরীক্ষা করবো। এটা আমাদের প্রোটোকল অনুসারে করা হবে। আমরা চাই সে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুক। তার অনুপস্থিতি অবশ্যই দলের জন্য একটি বড় ধাক্কা।’
ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিলেন সাকিব। এরপর পারিবারিক কারনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ থেকে সরে যান সাকিব।
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথমবারের মত ওয়ানডে সিরিজ জয়ে বড় ভূমিকা ছিলো সাকিবের। এতে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টেস্টে সাকিবের কাছে প্রত্যাশা অনেকখানি বেড়ে গিয়েছিলো।
কিন্তু টেস্ট সিরিজের আগে পারিবারিক সমস্যার কারনে দেশে ফিরে আসেন সাকিব। টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হোয়াইটওয়াশ হয় বাংলাদেশ।
তবে শ্রীলংকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে খেলতে আগ্রহী ছিলেন সাকিব। এজন্য প্রস্তুতি হিসেবে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) বেশ কয়েকটি ম্যাচও খেলেছেন সাকিব।