প্রাইম ডেস্ক »
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, অতীতে বেশ কিছু নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। এজন্য আগামী নির্বাচন যেন অধিকতর অংশগ্রহণমূলক হয়, প্রকৃত অংশীদারিত্বমূলক হয়- সে লক্ষ্যে সবার মতামত নিচ্ছে কমিশন।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সবার মতামত নিতে রোববার শিক্ষাবিদদের সঙ্গে কমিশনের প্রথম সংলাপে এসব কথা বলেন সিইসি।
নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে শিক্ষাবিদদের সঙ্গে ইসির প্রথম বৈঠক বিকাল ৩টায় শুরু হয়। শিক্ষাবিদদের পরামর্শ নিতে সংলাপে হাবিবুল আউয়াল কমিশনের প্রথম বৈঠকে ৩০ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু ইসির ডাকে সাড়া দিয়ে সংলাপে অংশগ্রহণ করেছেন মাত্র ১৩ জন শিক্ষাবিদ। সাড়া দেননি ১৭ জন শিক্ষাবিদ।
আজকের সংলাপে যে ১৩ জন শিক্ষাবিদ অংশ নিয়েছেন, তাদের মধ্যে ১১ জনের নাম নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা হলেন- অধ্যাপক সাদেকা হালিম, অধ্যাপক মোহাম্মদ ইয়াহিয়া আখতার, অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরী, অধ্যাপক মফিজুল ইসলাম, অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, ড. আখতার হোসেন, অধ্যাপক আল মাসুদ হাসানুজ্জামান, অধ্যাপক জাফর ইকবাল, অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন খান ও অধ্যাপক লায়লাফুর ইয়াসমিন।
নির্দিষ্ট এজেন্ডা ছাড়াই এই সংলাপ শুরু করেছে কমিশন। এরপর ২২ মার্চ নাগরিক সমাজের সঙ্গে সংলাপে বসবে। পরে রাজনৈতিক দল, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গেও সংলাপ হবে। সংলাপে উঠে আসা মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
দায়িত্ব নেওয়ার পর এত অল্প সময়ের মধ্যে সংলাপে বসার উদ্যোগ নিল এই কমিশন। নির্বাচন কমিশন সর্বশেষ ২০১৭ সালে বিভিন্ন মহলের সঙ্গে সংলাপে বসেছিল। সে বছর ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসার মধ্য দিয়ে কার্যত ওই সংলাপ শুরু হয়েছিল। এরপর ৪০টি রাজনৈতিক দল, নারী নেতৃত্ব, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও গণমাধ্যমের সঙ্গেও বসেছিল তৎকালীন কেএম নূরুল হুদার কমিশন।