প্রাইম ডেস্ক »
কাতারের আটটি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ২০২২ফিফা বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো। চলতি বছরের ২১ নভেম্বর শুরু হয়ে এই ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় টুর্নামেন্টে আধুনিক সুযোগসুবিধা সম্পন্ন আটটি স্টেডিয়াম।
লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়াম (ধারণক্ষমতা ৮০ হাজার):
কাতারের সর্ববৃহৎ এই স্টেডিয়ামে ২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপের ফাইনাল। সেই সঙ্গে প্রথম সেমি- ফাইনালসহ গ্রুপ পর্ব ও নকআউট পর্বের বেশ কিছু ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই স্টেডিয়ামে।
সেন্ট্রাল দোহা থেকে ১৫ কিলোমিটার উত্তরে ২০ লাখ মানুষের বসবাসের জন্য গড়া পকিল্পিত নগরী লুসাইলে নির্মান করা হয়েছে স্টেডিয়ামটি। বিশ^কাপের পর এটিকে একটি কমিউনিটি হাবে পরিণত করার পরিকল্পনা রয়েছে। স্টেডিয়ামের বেশীরভাগ আসন স্থানান্তরযোগ্য এবং এগুলো দান করে দেয়া হবে।
আল বায়েত স্টেডিয়াম, আল খোর (ধারণ ক্ষমতা ৬০ হাজার):
এই ভেন্যুতে উদ্বোধনী ম্যাচ ও দ্বিতীয় সেমি- ফাইনালসহ অন্যান্য কয়েকটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। টুর্নামেন্ট শেষে স্টেডিয়ামের উপরের অংশ সরিয়ে ফেলার পরিকল্পনা রয়েছে। এটিকে তৈরি করা হয়েছে বেদুইনদের তাঁবুর আদলে।
স্টেডিয়ামটির অবস্থান রাজধানী দোহা থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে কাতারের উত্তর-পুর্ব উপকূলে। তাই এটি রাজধানীর মেট্রো সিস্টেমের বাইরে চলে গেছে। যে কারণে দর্শকদের জন্য সেখানে যাওয়াটা কিছুটা কস্টসাধ্য হয়ে উঠতে পারে।
আল রাইয়ান, এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম (ধারণ ক্ষমতা ৪০ হাজার):
রাজধানী দোহার পশ্চিমে আল রাইয়ানের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মধ্যে এই স্টেডিয়ামটির অবস্থান। যেখানে আয়োজনকৃত ম্যাচের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে একটি কোয়ার্টার ফাইনাল। টুর্নামেন্ট শেষে এর ধারণ ক্ষমতা অর্ধেকে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। আর এর আসনগুলো উন্নয়নশীল দেশে দান করা হবে।
আল রাইয়ান, আহমদ বিন আলী স্টেডিয়াম (ধারণ ক্ষমতা ৪০ হাজার): এটি কাতারের সবচেয়ে সফল ক্লাব আল রাইয়ানের হোম গ্রাউন্ড। স্টেডিয়ামটি একই নামের পুরনো ভেন্যুতে তৈরি করা হয়েছে। এর একটি মেট্রো স্টেশন এডুকেশন সিটির কাছে। এটির অবস্থান শহরের সঙ্গে মরুভুমির সংযোগস্থলে। বিশ^কাপের পর এরও ধারন ক্ষমতা কমিয়ে আনা হবে।
দোহা, খালিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম (ধারণ ক্ষমতা ৪৫ হাজার ৪১৬):
১৯৭৬ সালে নির্মিত এই স্টেডিয়ামটিই একমাত্র ভেন্যু, যেটি কাতার বিশ্বকাপের আয়োজক স্বত্ব লাভের আগে থেকেই বিদ্যমান ছিল। যদিও স্টেডিয়ামটির ব্যাপক সংস্কার করা হয়েছে। এখানেই ২০১১ সালের এশিয়ান কাপের ফাইনাল এবং ২০১৯ সালের ক্লাব বিশ^কাপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। যে ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে লিভারপুল ও ফ্লামেঙ্গো।
দোহা, আল থুমামা স্টেডিয়াম (ধারণ ক্ষমতা ৪০ হাজার):
সেন্ট্রাল দোহার নিকটবর্তী এই স্টেডিয়ামটির অবস্থান হামাদ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের কাছে। এটি গাহফিয়ার আদলে নির্মিত। গাহফিয়া হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে পুরুষদের পরিধানের একটি ঐতিহ্যবাহী টুপি। এখানে অন্য ম্যাচের পাশাপাশি আয়োজন করা হবে কোয়ার্টার ফাইনালের একটি ম্যাচ। টুর্নামেন্টের পর এর ধারণ ক্ষমতাও অর্ধেকে নামিয়ে আনা হবে।
দোহা, স্টেডিয়াম ৯৭৪ (ধারণ ক্ষমতা ৪০ হাজার): দোহার ওয়াটার ফ্রন্টে শিপিং কন্টেইনার দিয়ে তৈরী পপ আপ স্টেডিয়ামটি বিশ্বকাপের পর সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলা হবে। ৯৭৪ নম্বরটি কাতারের আন্তর্জাতিক ডায়ালিং কোড। তবে এর দ্বারা স্টেডিয়াম নির্মানে ব্যবহৃত কন্টেইনারের সংখ্যাও প্রকাশ পেয়েছে।
আল ওয়াকরাহ, আল জানুব স্টেডিয়াম (ধারণ ক্ষমতা ৪০ হাজার):
দোহা শহরের দক্ষিনে আল ওয়াকরাহ শহের অবস্থিত স্টেডিয়ামটির নকশা করা হয়েছে মুক্তা ও মাছ সংগ্রহে ব্যবহৃত নৌকার আদলে।