প্রাইম ডেস্ক »
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, প্রয়োজনে ফ্লাডলাইট জ্বালিয়ে রাতে খেলা অনুষ্ঠিত হবে। লালদীঘির মাঠে না হলেও ধারে কাছে মঞ্চ করে তাতে বালি দিয়ে বলী খেলা অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হবে। মেলা আগের মতো রাস্তায় বসবে।”
মেয়র বলেন, এটি আমার মতামত। আমি সবার সাথে আলোচনা করে বলী খেলা যাতে অনুষ্ঠিত হয় সেই ব্যবস্থা করছি। কাল শনিবারএ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।
বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে বৈশাখ মাসের ১২ তারিখ লালদিঘীর ময়দানে হয় এই খেলা। এই খেলা ঘিরে তিন দিন লালদিঘীর মাঠ ও আশপাশের রাস্তায় কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বসে বৈশাখী মেলা।
করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালের খেলা বা মেলা কোনোটাই হয়নি।
এর আগে ১৩ এপ্রিল চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে জব্বারের বলী খেলা ও মেলা স্থগিতের ঘোষণা দেয় আবদুল জব্বার স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগিতা ও মেলা কমিটি।
সংবাদ সম্মেলনে মেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল হোসেন জানিয়েছিলেন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর লালদীঘি মাঠে ছয় দফা মঞ্চ, বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনার টেরাকোটা ও মাঠ সংস্কার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের কথা রয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা উদ্বোধন না হওয়ায় বলীখেলার জন্য মাঠ পাচ্ছে না কমিটি। তাই এবার বলীখেলা ও মেলার আয়োজন স্থগিত করা হয়েছে।
এরপর বিষয়টি নিয়ে নানা মহলে আলোচনা শুরু হয়। চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী এই আয়োজন অব্যাহত রাখার দাবি ওঠে। এই প্রেক্ষাপটে মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী আয়োজকদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেলা কমিটির সভাপতি জহর লাল হাজারী জানান,চেষ্টা করছি বলী খেলা ও মেলা দুটোই আয়োজন করার।