প্রাইম ভিশন ডেস্ক »
চট্টগ্রামের সল্টগোলা ঈশান মিস্ত্রির হাটের মেসার্স আসআদ প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ী মো. ইলিয়াছ হোসেন গত মার্চে খোলা পাম তেল কিনেছিলেন প্রতি লিটার ১৩০ টাকা দরে। আর খোলা সয়াবিন কেনেন ১৩৬ টাকা লিটারে। ৬ হাজার ৪০০ লিটার তেল এত দিন তিনি বিক্রি করেননি। এতোদিন মজুত করেছিলেন।
আজ রোববার র্যাব-৭ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে এসব তেল উদ্ধার করা হয়। তাঁকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। র্যাব বলছে, মো. ইলিয়াছ হোসেন বেশি লাভের আশায় এসব তেল মজুত করেছিলেন। এখন দাম বেড়ে যাওয়ার পর কম দামে কেনা তেল বেশি দামে বিক্রি করা শুরু করেন তিনি।
এ অভিযান ১২টায় শুরু হয়, চলে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। উপস্থিত ছিলেন র্যাব-৭-এর পুলিশ সুপার তাহিয়াত আহমেদ চৌধুরী, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. ফয়েজ উল্যাহ, সহকারী পরিচালক দিদার হোসেন প্রমুখ।
সয়াবিন তেলের সংকট শুরু হওয়ার পর চট্টগ্রামের বাজারগুলোয় অভিযান শুরু করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম কার্যালয়। অভিযানে দোকানের গুদাম থেকে বিপুল পরিমাণ তেল উদ্ধার করা হয়। দোকানিরা বেশি লাভের আশায় এসব তেল গুদামজাত করেন।
শনিবার চৌমুহনীর কর্ণফুলী বাজারের মেসার্স জে আলম অ্যান্ড ব্রাদার্সের মালিক তৌহিদুল ইসলামকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পুরোনো দামে সয়াবিন তেল কিনে গুদামে মজুত করেছিলেন তিনি। কিন্তু তার দোকানে কোনো তেল ছিল না। অভিযান চালিয়ে দোকানের গুদামে ১ হাজার ৫০০ লিটার তেল পাওয়া যায়। পরে এসব তেল আগের দামে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করা হয়।