সোমবার, অক্টোবর ২০, ২০২৫
spot_img
Homeএই মুহুর্তেহাঙ্গেরিতে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন ট্রাম্প

হাঙ্গেরিতে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন ট্রাম্প

প্রাইম ভিশন ডেস্ক »

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনার জন্য আবারও বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প জানান, তিনি পুতিনের সঙ্গে হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে সাক্ষাৎ করবেন। দুই নেতার মধ্যে দীর্ঘ ও ফলপ্রসূ টেলিফোন আলাপের পর এই বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান ট্রাম্প। তিনি পরে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বৈঠকটি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হতে পারে।

ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে ফোনালাপটি হয় ট্রাম্পের ওয়াশিংটন ডিসিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের একদিন আগে। সেই বৈঠকে জেলেনস্কি ট্রাম্পকে আবারও অনুরোধ জানাবেন ইউক্রেনকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি করার জন্য, যা ইউক্রেনকে চলমান যুদ্ধে রাশিয়ার ভেতরে আরও গভীরে আঘাত হানার সক্ষমতা দেবে।

‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, তিনি শুক্রবার ওভাল অফিসে জেলেনস্কিকে রাশিয়ার সঙ্গে তার আলোচনার বিষয়ে অবহিত করবেন।

ট্রাম্প বলেন, ‘আজকের টেলিফোন আলাপে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা আগামী সপ্তাহে বৈঠক করবেন, যেখানে তার এবং পুতিনের পরবর্তী বৈঠকের প্রস্তুতি নেওয়া হবে।

এই ফোনালাপটি আগস্ট মাসে আলাস্কায় অনুষ্ঠিত তাদের সম্মেলনের পর দুই নেতার মধ্যে প্রথম যোগাযোগ।

বৃহস্পতিবার বিকেলে এক্সে (সাবেক টুইটার) এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়াকে আলোচনায় বসাতে হলে কেবল ‘শক্তি ও ন্যায়বিচারের ভাষা’ই কার্যকর হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই দেখছি, টমাহক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রসঙ্গ উঠতেই মস্কো দ্রুত সংলাপে ফিরতে আগ্রহ দেখাচ্ছে।’

এই ঘটনাগুলো ঘটছে এমন সময়ে, যখন জেলেনস্কি শুক্রবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিয়েভ আশা করছে, এই বৈঠকের মাধ্যমে তারা রুশ বিমান হামলা প্রতিরোধ ও পাল্টা আঘাতের জন্য আরও সহায়তা পাবে।

বৃহস্পতিবার রাতেও ইউক্রেনে হামলা অব্যাহত রেখেছে রুশ বাহিনী। তারা শত শত ড্রোন ও ডজনখানেক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যার লক্ষ্য ছিল অবকাঠামো, বিশেষ করে জ্বালানি-সম্পর্কিত স্থাপনা।

সপ্তাহের শুরুর দিকে ইউক্রেনে একটি হাসপাতাল ও জাতিসংঘের কনভয়ে হামলা চালায় রুশ বাহিনী, এতে ৫৭ জন আহত হন এবং ৫০ জন রোগীকে সরিয়ে নিতে হয়।

এর পাল্টা জবাবে ইউক্রেন রুশ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা জোরদার করেছে, যার মধ্যে রাশিয়ার সারাতভ অঞ্চলের একটি তেল শোধনাগারে আঘাত হেনেছে ইউক্রেন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

পাঠক প্রিয়