বুধবার, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৫
spot_img
Homeএই মুহুর্তেসেন্টমার্টিন নৌরুটে স্পিডবোটকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ, দ্বীপে আতঙ্ক

সেন্টমার্টিন নৌরুটে স্পিডবোটকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ, দ্বীপে আতঙ্ক

প্রাইম ভিশন ডেস্ক »

কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে রোগীবাহী একটি স্পিডবোটকে লক্ষ্য করে ফের গুলিবর্ষণের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সেন্টমার্টিনে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শাহপরীর দ্বীপ ঘোলাচর এলাকার বাংলাদেশের জলসীমায় এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন স্পিডবোট মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি ও সেন্টমার্টিন ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম।

তিনি বলেন, মিয়ানমার সীমান্ত থেকে বারবার গুলিবর্ষণের ঘটনায় ৬ দিন ধরে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এরমধ্যে আজ সকালে এক রোগী চিকিৎসা শেষে সেন্টমার্টিন ফেরার উদ্দেশ্যে ৭ যাত্রীসহ স্পিডবোটে টেকনাফের ঘাট ছাড়ে। কিছু সময় চলার পর বঙ্গোপসাগরে পৌঁছালে ওই নৌপথে মিয়ানমারের সীমান্ত থেকে গুলি ছোড়া হয়। পরে তারা আবার ঘাটে ফিরে এসে পশ্চিম বঙ্গোপসাগর দিয়ে সেন্টমার্টিনে পৌঁছায়।

এ বিষয়ে স্পিডবোটের যাত্রী গ্রামপুলিশ শাহীন বলেন, আমরা রোগীবাহী স্পিডবোটে করে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে যাচ্ছিলাম। বঙ্গোপসাগরে পৌঁছা মাত্র আমাদের ওপর মিয়ানমার সীমান্ত থেকে গুলি করা হয়। যারা গুলি করছিল তারা গুলি করতে করতে মিয়ানমার সীমান্ত হয়ে নৌকা চেপে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে। স্পিডবোটটি লক্ষ্য করে কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। আমরা প্রাণ বাঁচাতে স্পিডবোটটি ঘুরিয়ে তীরে ফিরে আসি। পরে পশ্চিম বঙ্গোপসাগর দিয়ে সেন্টমার্টিনে পৌঁছাই। যাত্রীরা সবাই উদ্বেগে রয়েছেন।

এদিকে ঘটনা সম্পর্কে জানতে টেকনাফ কোস্টগার্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ প্রসঙ্গে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে বিভিন্নভাবে শোনা যাচ্ছে। তবে বিস্তারিত জেনে পরে বলতে পারবো।

এর আগে, সেন্টমার্টিন নৌপথে গত ৫ জুন থেকে একাধিকবার গুলিবর্ষণের ঘটনায় টেকনাফের সঙ্গে সেন্টমার্টিনের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে উদ্বেগ ও শঙ্কার মধ্যে রয়েছে দ্বীপের ১০ হাজার বাসিন্দা।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

পাঠক প্রিয়