প্রাইম ডেস্ক »
বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাড়ি কেনায় দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কথা প্রস্তাব করেছে কানাডার সরকার। লাগামহীন আবাসন খাত নিয়ন্ত্রণেই মূলত এমন পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে জাস্টিন ট্রুডোর সরকার।
মহামারি করোনাভাইরাসের শুরু থেকেই কানাডার গৃহায়ণ খাতে আগুন লেগেছে। দুই বছরে বাড়ির দাম বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ। এর পেছনে বিদেশি বিনিয়োগকারীসহ নানা কারণ দেখছেন বিশ্লেষকরা।
গত বছর দেশটিতে আবাসনের মূল্য ২০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। হঠাৎ এই বৃদ্ধিতে বেশ চাপে রয়েছে সরকার। বাড়ি দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি ভাড়াও হু হু করে বাড়ছে।
গৃহায়ণ খাতের এই পরিস্থিতির জন্য বিদেশ থেকে পাচার হয়ে আসা অর্থের স্রোত সামলাতে দেশটির সরকারের ব্যর্থতাকে অনেকাংশে দায়ী করা হয়। কানাডা এখন বিশ্বের অন্যতম ট্যাক্স হ্যাভেন। দেশটি কালো টাকার স্বর্গ এবং সম্পদ গোপনকারীদের নিরাপদ আশ্রয় হয়ে উঠেছে।
দেশটির সরকারের নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, বিদেশিদের বাড়ি কেনার ওপর দুই বছরের নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি এক বছরের মধ্যে বাড়ি বিক্রি করতে চাইলে উচ্চ হারে কর দিতে হবে। তবে স্থায়ী বাসিন্দা ও বিদেশি শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে কিছু ব্যতিক্রমের সুযোগ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
কানাডার বাজেটে নতুন আবাসনের জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা হবে এবং আবাসন খাতে কানাডীয়দের সহায়তার জন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। নতুন সঞ্চয়ী অ্যাকাউন্ট এবং যারা প্রথমবার বাড়ি কিনছেন তাদের জন্য কর ছাড়ের কথাও ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার।
কানাডার রিয়েল এস্টেট অ্যাসোসিয়েশনের হিসাবে, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের নভেম্বরের মধ্যে কানাডায় সাধারণ বাড়ির দাম ৩৮ শতাংশ বেড়েছে। তখন গড়ে ৭ লাখ ৮০ হাজার ৪০০ ডলারে বেচাকেনা হয়েছে, যা এখন গড়ে ১০ লাখ ডলারের ওপর।
রয়্যাল ব্যাংক অব কানাডার সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন অনুসারে, গত ৩১ বছরের মধ্যে কানাডায় বাড়ির মূল্য এখন সবচেয়ে বেশি।