প্রাইম ভিশন ডেস্ক »
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নেমেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তাদের উদ্যোগে চলতি মাসেই নতুন দল আত্মপ্রকাশ করতে পারে। এতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও তরুণদের একাংশ যুক্ত হবে বলে জানা গেছে।
এ লক্ষ্যে নতুন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা নিয়মিত নির্বাচনী এলাকায় যাচ্ছেন।
স্থানীয় পর্যায়ে সভা-সমাবেশের মাধ্যমে শিক্ষার্থী, তরুণ ও যুবকদের সংগঠিত করার চেষ্টা করছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলছেন, সব ধরনের যৌক্তিক সংস্কার সম্পূর্ণ হওয়ার পরই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। তার আগে কোনো নির্বাচনে নতুন দলের নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করবে না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দপ্তর সেল সম্পাদক জাহিদ আহসান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বাংলাদেশে যেসব বিধি-ব্যবস্থার জন্য ফ্যাসিবাদী শক্তি বারবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে, সেসব বিধি-ব্যবস্থার বিলোপ এবং যৌক্তিক সংস্কার করে নির্বাচন করতে হবে।
সেটি যদি ডিসেম্বরে শেষ হয় তবে ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে। যদি এক বছর পর শেষ হয় তবে এক বছর পরই নির্বাচন করতে হবে।’
অন্যদিকে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সারোয়ার তুষার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘নির্বাচন যখনই হোক, আমরা নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত। আমাদের অনেকেই নিজের এলাকায় কাজ করে একটা নির্বাচনী আবহাওয়া তৈরি করেছে।
তবে আমাদের অবস্থান হচ্ছে, সংস্কার বাদ দিয়ে নির্বাচন হলে আমরা সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব না। আমরা আগে দেখতে চাই সংস্কার কতটুকু হচ্ছে। আমরা এখনো জাতীয় ঐক্য কাউন্সিলের প্রথম বৈঠক হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি। ঐক্যের আগেই যদি এ রকম তারিখ ঘোষণা দিয়ে দেয়, তাহলে তো বোঝা যাচ্ছে যে সংস্কারটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, নির্বাচনটাই গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের আলাদা করে ডিসেম্বর নিয়ে কোনো আপত্তি নেই।