প্রাইম ভিশন ডেস্ক »
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মতৎপরতায় ঢাকাসহ সারাদেশে মব জাস্টিস, চাঁদাবাজি ও হত্যার ঘটনা আগের চেয়ে কমেছে বলে জানিয়েছেন সেনাসদর মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম।
সোমবার ঢাকা সেনানিবাসে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা জানান।
কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘…সারাদেশে অপরাধের হটস্পটগুলো ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে। সেসব পয়েন্ট ২৪ ঘণ্টা নজরদারিতে রয়েছে।’
তিনি বলেন, গত দুই মাস আগে চাঁদাবাজির অভিযোগ ছিল ২৫০টি। বর্তমানে তা কমে ১১০টিতে নেমে এসেছে। চুরির ঘটনা ছিল ৮৫০টির মতো। এখন সেটি ৬০০-এর নিচে নেমে এসেছে। খুনের ঘটনা যেখানে ছিল সাড়ে ৩০০, সেখানে এখন তা ১২০-এ নেমেছে।
বান্দরবানের লামায় বেশ কয়েকজন শ্রমিক অপহরণ প্রসঙ্গে কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, সেনাবাহিনীর পরিসংখ্যান অনুযায়ী লামা থেকে ২০ জনের মতো শ্রমিককে অপহরণ করা হয়েছে। দুষ্কৃতকারী কোনো একটি দল এটি করেছে। তাদের উদ্ধারে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি পুলিশ, বিজিবি, আনসার বাহিনীরও অভিযান চলমান রয়েছে। অপহরণকারীরা একটি নম্বর দিয়েছে, তারা হয়তো টাকা চেয়েছে।
পার্বত্য অঞ্চলে কুকি-চিনের দৌরাত্ম্যের বিষয়ে প্রশ্নে তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর পেট্রোলিংয়ের কারণে কুকি-চিনের দৌরাত্ম্য রোধ করতে পেরেছি। গতকালও (রোববার) কুকি-চিনের দুটি ক্যাম্প (আস্তানা) ধ্বংস করেছি। এছাড়াও কুকি-চিনের অত্যাচারে বাড়িছাড়া ১১টি বম পরিবারকে সম্প্রতি সেনাবাহিনীর সহয়তায় তাদের গ্রামে আনা হয়েছে। কুকি-চিনের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে।
সেনাবাহিনী জনগণের আস্থার জায়গা অর্জন করতে কোন কোন পন্থা অবলম্বন করছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশের মানুষের পাশে থেকে সেনাবাহিনী সবসময় নিরপেক্ষ পন্থা অবলম্বন করে কাজ করে। জনগণের আস্থার জায়গায় সেনাবাহিনী সবসময় কাজ করছে।
তিনি বলেন, গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর থেকে এই বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেনাবাহিনীর নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৭২টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৫২৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। গত এক মাসে যৌথ অভিযানে মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত ৩৩৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এছাড়াও গত মাসে ইয়াবা, ফেনসিডিল ও মদসহ উল্লেখজনক পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। চলতি মাসের ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গত এক মাসে বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত মোট ২ হাজার ১৪২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অভিযানের পাশাপাশি সেনাবাহিনী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা, বিদেশি কূটনীতিক এবং দূতাবাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি বজায় রাখা এবং কক্সবাজারে এফডিএমএন ক্যাম্প এলাকার সুরক্ষার কাজ অব্যাহত রেখেছে।