প্রাইম ডেস্ক »
এ বছর ১,৪৯৭ জন শিক্ষার্থী মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরাধিকারী হিসেবে ভারত সরকারের বৃত্তি পাচ্ছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ভারত সরকার প্রতি বছর মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকারীদের বৃত্তি দেয়।
এই বছর বৃত্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ৫০১ জন উচ্চ মাধ্যমিক ও ৯৯৬ জন স্নাতক পর্যায়ের। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সারা দেশ থেকে বৃত্তির জন্য শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতে ব্যাপক সহযোগিতা করেছে।
‘ডিরেক্ট ব্যাংক ট্রান্সফার (ডিবিটি)’ পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বৃত্তির পরিমাণ সরাসরি জমা হবে।
ভারত সরকার ২০০৬ সালে মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকারীদের জন্য ‘মুক্তিযোদ্ধা বৃত্তি প্রকল্প’ শুরু করে। প্রাথমিকভাবে উচ্চ মাধ্যমিক এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করা হয়েছিল।
স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি বছর ২৪ হাজার টাকা করে চার বছর এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের ১০ হাজার টাকা করে দুই বছর বৃত্তি হিসেবে দেওয়া হয়। এমনকি কভিড-১৯ মহামারির সময়েও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশ সফরের ধারাবাহিকতায় এই বৃত্তি দেওয়া অব্যাহত ছিল। ভারতীয় হাইকমিশন জানায়, এটি বাংলাদেশের ভ্রাতৃপ্রতীম জনগণ ও সরকারের সঙ্গে বন্ধুত্বের প্রতি ভারতের সরকার ও জনগণের চিরস্থায়ী অঙ্গীকারের প্রতিফলন।
২০১৭ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে নতুন বৃত্তি প্রকল্প ঘোষণা করা হয়। নতুন বৃত্তি প্রকল্পের অধীনে পরবর্তী পাঁচ বছরে ১০ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিচ্ছে ভারত। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ২০ হাজার টাকা এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ৫০ হাজার টাকা করে বৃত্তির পরিমাণ ধার্য করা হয়েছিল। এখন পর্যন্ত ১৯ হাজার ৮২ জন শিক্ষার্থী এই প্রকল্পের আওতায় উপকৃত হয়েছে। এ প্রকল্পে ভারত এরই মধ্যে ৪৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয় করেছে। দৃঢ় প্রতিশ্রুতির ধারাবাহিকতায় ভারত সরকার ২০২২-২৩ থেকে আরো পাঁচ বছরের জন্য বৃত্তি প্রকল্পটি নবায়ন করেছে।