প্রাইম ডেস্ক »
চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার রৌফাবাদ এলাকা থেকে অপহৃত দেড় বছরের এক শিশুকে হবিগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় দুই নারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান। এর আগে, শুক্রবার হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার খররা গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- লক্ষ্মীপুরের জয়নাল আবেদীনের মেয়ে কুলসুম ওরফে কুসুম ওরফে সুমি, তার সহযোগী বেলাল ও মাধবপুরের খররা নোয়াপাড়া এলাকার খোরশেদা বেগম।
অপহণের শিকার শিশুটির নাম মোহাম্মদ আরজু। রৌফাবাদের রাজামিয়া কলোনিতে থাকে তার পরিবার।
পুলিশ জানায়, আরজুর মা পেশায় পোশাক শ্রমিক ও বাবা মাংস বিক্রেতা। প্রতিদিনের মতো বুধবার সকাল ৭টায় আরজুকে ১২ বছর বয়সী বড় মেয়ে নাজমার কাছে রেখে কাজে চলে যান তারা। সকাল ১০টার দিকে আরজুকে বাসায় রেখে নাজমা কলোনির অন্যদিকে গেলে আরজু চুরি হয়ে যায়। পরে বাবা-মা বাসায় ফিরে ঘটনা জানতে পেরে বিষয়টি পুলিশকে জানায়। এরপরই শিশুটিকে উদ্ধারে অভিযানে নামে পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার পর হবিগঞ্জের মাধবপুর থেকে শিশু আরজুকে উদ্ধার ও তিন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়।
বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান বলেন, ঘটনার দিন সকাল আনুমানিক ১০টা থেকে ১০টা ২০ মিনিটের মধ্যে শিশুটি চুরি হয়ে যায়। মুক্তা ও আব্দুল খালেক দম্পতির বড় মেয়ে নাজমা কলোনির অন্য দিকে গেলে সুযোগ বুঝে শিশু আরজুকে কোলে নিয়ে কৌশলে পালিয়ে যান কুলসুম ওরফে কুসুম ওরফে সুমি। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনার পর তাকে আমরা শনাক্ত করি। কিন্তু তার পুরো নাম-ঠিকানা কেউ জানতো না।
ওসি বলেন, সুমি রৌফাবাদ এলাকায় একেক সময় একেক কলোনিতে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। দুই-তিন মাসের বেশি কোনো বাসায় থাকতেন না। একপর্যায়ে তদন্তে জানা যায়- তার বাড়ি লক্ষ্মীপুরে। শিশুটিকে চুরির পর তিনি রৌফাবাদ থেকে কৌশলে আমিন কলোনি এলাকায় কথিত স্বামী সোহেলের সঙ্গে আত্মগোপন করেন। পরে সোহেলের বাড়ি মৌলভীবাজার না গিয়ে হবিগঞ্জের মাধবপুর খররা গ্রামের নোয়াপাড়া এলাকায় চলে যান। সেখানে অভিযান চালিয়ে ৪৮ ঘণ্টার চেষ্টায় অপহৃত শিশু আরজুকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।