প্রাইম ভিশন ডেস্ক »
কম সময়ের বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। কর্মস্থলে যেতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের বাড়তি ভাড়া গুনতে হয়েছে।
চট্টগ্রাম দুই নম্বর গেট, চকবাজার, বাদুরতলা, জঙ্গী শাহ মাজার গেট, হারেজ শাহ মাজার গেট, বড় গ্যারেজ, ডিসি সড়ক, সৈয়দ শাহ সড়কসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যায়।
পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থায় বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা থাকায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের দাবি, এলাকার খাল ও নালা-নর্দমা নিয়মিত পরিষ্কার করা হচ্ছে না। এগুলো ভরাট হয়ে গেছে। পানি নামার পরিবর্তে উল্টো এলাকায় ঢুকে পড়ে। ফলে সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তাঘাটে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। জোয়ার হলে ভোগান্তি চরমে ওঠে।
জানা গেছে, চলমান জলাবদ্ধতা নিরসনের আওতায় বিভিন্ন খালে ও ড্রেনে দেওয়া বাঁধের কারণে টানা বৃষ্টিতে পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে জমে যায়। তবে বৃষ্টি থেমে যাওয়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই পানি সরে যায়।
শনিবার (২১ মে) ভোরে চট্টগ্রাম নগরীসহ আশপাশের এলাকায় বজ্রসহ বৃষ্টিপাত শুরু হয়। প্রথমদিকে টানা বৃষ্টি হলেও পরে থেমে থেমে হাল্কা বৃষ্টিপাত স্থায়ী ছিল সকাল ৯টা পর্যন্ত।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চৌধুরী জানিয়েছেন, শনিবার ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। দুপুর ১২টা পর্যন্ত রেকর্ড করা বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৪৩ মিলিমিটার। এসময় ঘণ্টায় ৫০ মাইল বেগে বাতাস বয়ে যায়।
বৃষ্টিতে নগরীর দুই নম্বর গেট, মুরাদপুর, বাকলিয়া, ডিসি রোড, চকবাজার, চান্দগাঁও, ফিরিঙ্গিবাজার, আলকরণ এলাকায় জলাবদ্ধতা কোথাও গোড়ালিসমান, কোথাও হাঁটু পর্যন্ত পানি ওঠে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা এই পানি জমে ছিল। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মেঘ কেটে রোদ ওঠে।
চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। এ প্রকল্পের আওতায় নগরীর বিভিন্ন খালের ভেতরের অংশে অস্থায়ী বাঁধ দিয়ে জলকপাট ও প্রতিরোধ দেওয়াল নির্মাণের কাজ চলছে। খালে দেওয়া বাঁধের কারণে ব্যাপক জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছিলেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বাঁধ অপসারণের জন্য সময়ও বেঁধে দিয়েছিলেন। তবে বাঁধ সরেনি।
এসবি/ আরআর