প্রাইম ডেস্ক »
বন্দর এলাকার পরিবেশ দূষণ করায় কঠোর শাস্তির বিধান রেখে সংসদে ‘চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বিল ২০২২’ শিরোনামের একটি বিল পাস হয়েছে।
মঙ্গলবার নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বিলটি সংসদে উত্থাপন করলে, কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়।
সামরিক শাসনামলে জারি করা চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ, ১৯৭৬ বাতিল করার লক্ষ্যেও বিলটি আনা হয়। প্রস্তাবিত বিলে পানি, ভূমি ও উপকূল দূষিত করে পরিবেশের ক্ষতি করার শাস্তি পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী নির্ধারণ করা হবে।
খসড়া আইনে আরো বলা হয়েছে, আইনের অধীনে কোনো নিয়ম লঙ্ঘন করলে এবং শাস্তির বিধান পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে উল্লেখ না থাকলে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। বিলে সংযোজিত নতুন বিধান অনুযায়ী বন্দরের টোল, ফি ও অন্যান্য চার্জ ফাঁকি দিলে এক মাসের জেল বা এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
ভাড়া ও টোলের জন্য কর্তৃপক্ষ একটি চার্ট তৈরি করবে এবং সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নেবে। তবে ৫ হাজার টাকার নিচে ভাড়া বা টোল দিতে কোনো অনুমতি লাগবে না। খসড়া আইনে বন্দরের উন্নয়নে একটি তহবিল গঠনেরও প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিল অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের জন্য একজন চেয়ারম্যান এবং সাত সদস্যের বোর্ড থাকবে। বিদ্যমান আইনে চার সদস্যের বোর্ড রয়েছে। বোর্ড প্রতি দুই মাসে অন্তত একটি সভা করবে।