প্রাইম ডেস্ক »
খেজুর ছাড়া রমজানে ইফতার যেন অসম্পূর্ণ। অনেকই আছেন যারা সারা বছরই কম-বেশি খেজুর খান। তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে না ধুয়ে খেজুর খেয়ে ফেলেন। এ নিয়ে এবারে বিশ্বের অন্যতম খেজুর উৎপাদনকারী দেশ সৌদি আরবের সৌদি ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অথরিটি (এসএফডিএ) পরামর্শ দিয়েছেন, খাওয়ার আগে খেজুর যেন গরম পানি দিয়ে ধুয়ে খাওয়া হয়।
কারণ হিসেবে তারা বলছে, খেজুরে যদি কোনো কীটনাশক এবং রাসায়নিক পদার্থের অবশিষ্টাংশ থাকে তা কমাতে সাহায্য করবে। খেজুর রাসায়নিক পদার্থ যেমন কীটনাশকের অবশিষ্টাংশ, ভারী এবং বিষাক্ত ধাতু দ্বারা দূষিত হয়, অথবা ভৌত কোনো পদার্থ (ফরেন বডি যেমন ধাতব অংশের উপস্থিতি) দ্বারা বা অণুজীবের বৃদ্ধি (ইস্ট এবং ছাঁচ) দ্বারা দূষিত হয়।
সংস্থাটি আরও জানায়, খেজুর সংরক্ষণের বিভিন্ন উপায় রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে ‘ফ্রিজিং’। কারণ এটি অণুজীবকে মেরে ফেলতে বা কমাতে কাজ করে। সেই সঙ্গে বায়োপ্রসেস এবং অক্সিডেশনও কমাতে কাজ করে।
যতটা সম্ভব কম তাপমাত্রায় খেজুর হিমায়িত করার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। কারণ হিমায়িত সময়টাতে এনজাইমেটিক কার্যকলাপ অব্যাহত থাকে।
খেজুরকে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত ফ্রিজে রাখা যেতে পারে। তবে সেজন্য উপযুক্ত প্যাকেজিং গুরুত্বপূর্ণ, যাতে খেজুর আর্দ্রতার সংস্পর্শে আসতে না পারে।
এসএফডিএ বলছে, কিছু কিছু খেজুর ফ্রিজে তিন মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। অবশ্য ‘ড্রায়িং’ পদ্ধতিতেও খেজুর সংরক্ষণ করা যায়। এই পদ্ধতিতে খেজুর এক বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। সূত্র: সৌদি গেজেট