প্রাইম ভিশন ডেস্ক »
বন্যায় বিপর্যস্ত ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, খাগড়াছড়িসহ ১১টি জেলা। দিশেহারা অবস্থায় দিন পার করছেন বন্যার্তরা। চরম এই মানবিক সংকটে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের নানা শ্রেণি-পেশার অনেকে। কেউ দান করে ফেসবুকে ছবি পোস্ট দিয়ে জানাচ্ছেন, কেউ আবার নীরবে নিভৃতে বানভাসি মানুষের পাশে থাকছেন। তেমনই একজন চিত্রনাযিকা ইয়ামিন হক ববি।
তিনি জানালেন, লোক দেখানো দান-সদকা তার মোটেও পছন্দ না। এমনকি তার বোন-মা কেউই এগুলো পছন্দ করেন না।
চাঁদপুরে ববির নানার বাড়ী। সেখানকার পার্শ্ববর্তী জেলা হচ্ছে ফেনী, নোয়াখালী। ববি বলেন, বন্যার শুরুতে তিনি খাবার, শুকনো খাবার, কাপড়চোপড় সবকিছু দিয়ে বন্যার্তদের পাশে থেকেছেন। ববি বলেন, বন্যায় সবকিছু পানিতে তলিয়ে থাকে, এই সময় নগদ অর্থ কাজে আসে না। এ কারণে আমি শুরুতে খাবার এবং পোশাক পাঠিয়েছিলাম।
ববির কথায় ‘বন্যার পানিতে ভেসে আসা বাচ্চাগুলোর ছবি যখন অনলাইনে গিয়ে দেখতে পাচ্ছি আমার খুব খারাপ লাগছে। তবে শুধু বন্যা না, আমি প্রায় বিভিন্ন কাজে কন্ট্রিবিউট করি, এতিম খানায় যাই। ওখানকার বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটাই। দান করে কখনো এগুলো ফেসবুকে ছবি দেই না। খুব খারাপ লাগে। আমার মনে হয় লোক দেখানো দান অসহায়ত্বকে পুঁজি করা মনে হয়। তাই এটা ঠিক না।’
দেশের বর্তমান পরিস্থিতে ববির মন্তব্য, এখনও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুরোপুরি সক্রিয় হয়নি। এজন্য মাঝেমধ্যে কিছুটা ভয় অনুভব হয়। এর মধ্যে প্রায় খবর দেখি একেক স্থানে দখল ও লুটপাট চলছে। সবার মতো আমিও জানমালের নিরাপত্তা আগে চাইছি। এখন আমরা সবাই বুঝতে পারছি, পুলিশ ছাড়া দেশের মানুষের নিরাপত্তা অচল। আমি আশা রাখছি, পুলিশ ভাইয়েরা আবার দ্রুত আগের মতো অ্যাকটিভ হয়ে জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিতে দায়িত্বে থাকবেন।