প্রাইম ভিশন ডেস্ক »
মানবসেবী মাদার তেরেসা বলেছেন, ‘শান্তির শুরু হয় হাসি থেকে।’ আমরা যখন কাজের চাপে বা পারিপার্শিক সমস্যায় চুপসে যাই, তখন প্রাণখোলা হাসি পারে চাঙ্গা করতে। একটু হাসি ফোটানোর জন্যই তো কত যুদ্ধ! বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, হাসি শুধু খুশিই রাখবে না। হাসির কারণে সুস্থ থাকবেন, বেড়ে যাবে আয়ু।
যত হাসবেন, তত বাড়বে আয়ু, হার্ট থাকবে চাঙ্গা—এমনটাই দাবি বিশেষজ্ঞদের। জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি মেডিক্যাল স্কুলের সাম্প্রতিক গবেষণার বরাতে ভারতের গণমাধ্যম জিও নিউজ বলেছে, হাসলে আয়ু বাড়ে। হার্ট ভালো থাকে। ওজন কমায়। শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। হজম ভাল হয়। ভালো থাকে ফুসফুস। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক হয়। ব্যথা কমায়।
নরওয়ের সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, যাদের সেন্স অব হিউমার প্রখর, যারা সবসময় আশাবাদী, তারা বাকিদের তুলনায় ৫৫ শতাংশ বেশি বাঁচেন। দিনে অন্তত ১৫ মিনিট হাসার পরামর্শ দিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে শরীরে হ্যাপি হরমোনের ক্ষরণ হয়। ডিপ্রেশন কমে। সম্পর্কের উন্নতি হয়। দিনে ১৫ মিনিট হাসিতে প্রায় ৪০ ক্যালোরি বার্ন হয়। বছরে ৩-৪ পাউন্ড হাসতে হাসতে কমে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, জীবনকে অত্যন্ত সিরিয়াসলি নেওয়া চলবে না। অন্যের ওপর মেজাজ হারানো, চিৎকার-চেচামেচি করাও উচিত নয়। বরং হালকা চালে মুখে হাসি নিয়ে সব বাধার মোকাবিলা করা যায়। যখনই দুঃখ, রাগ বা স্ট্রেস বাড়বে, তখনই অতীতের কোনও মজার ঘটনা বা জোকসকে মনে করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।