প্রাইম ডেস্ক »
চট্টগ্রাম থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে সপ্তাহে ৪০টি যাত্রীবাহী ফ্লাইট পরিচালনা করছে দেশি-বিদেশি তিনটি বিমান সংস্থা। রাষ্ট্রায়ত্ত ‘বাংলাদেশ বিমান’, দুবাইভিত্তিক ‘ফ্লাই দুবাই’ এবং শারজাহভিত্তিক ‘এয়ার এরাবিয়া’। এই তিন বিমান সংস্থার চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া সবগুলো ফ্লাইট সরাসরি আরব আমিরাত যাচ্ছে।
অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এমিবিডিতে ২৬ এপ্রিল বাংলাদেশ বিমানের চট্টগ্রাম-দুবাই রুটে আসা-যাওয়ার ভাড়া দেখানো হচ্ছে এক লাখ তিন হাজার টাকা। বিদেশি বিমান সংস্থা ফ্লাই দুবাইয়ের আসা-যাওয়ার ভাড়াও এক লাখ চার হাজার টাকা। আর চট্টগ্রাম-শারজাহ রুটে ভাড়া কিছুটা কম, আসা-যাওয়ার ভাড়া ৫৫ হাজারে নেমেছে। জানুয়ারি মাসে মধ্যপ্রাচ্য রুটে যখন টিকিট নিয়ে হৈচৈ চলছিল, তখন চট্টগ্রাম-দুবাই শুধু যাওয়ার বিমানভাড়া ছিল এক লাখের ওপরে। এখন সেটি কমে ৫২ হাজারে নেমেছে।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে এখন সবচেয়ে বেশি, সপ্তাহে ২১টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে শারজাহভিত্তিক এয়ার এরাবিয়া। এর মধ্যে চট্টগ্রাম-শারজাহ রুটে সকাল-বিকাল ১৪টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। আর চট্টগ্রাম-আবুধাবি রুটে সাতটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে সপ্তাহে। এই রুটে শুরু থেকেই সর্বোচ্চ যাত্রী পরিবহন করছে এয়ার এরাবিয়া। করোনার পর মূলত পর্যটক ভিসায় যাত্রী বেড়ে যাওয়া এবং ওমরাহ যাত্রীদের টার্গেট করেই এই বিপুল ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিমান সংস্থাটি।
চট্টগ্রাম-জেদ্দা/মদিনা-চট্টগ্রাম রুটে আমরা আসা যাওয়ার ভাড়া সব মিলিয়ে মাত্র ৭৪ হাজার টাকা। চট্টগ্রাম থেকে শারজাহ বা আবুধাবি হয়ে ওমরাহে যাওয়া যাচ্ছে। আর শারজাহতে গিয়ে এক ঘণ্টা বিশ্রাম এবং মিকাত করারও সুযোগ পাচ্ছেন ওমরাহ যাত্রীরা। ’
এদিকে চট্টগ্রাম থেকে আরব আমিরাত রুটে সপ্তাহে ১৪টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে দুবাইভিত্তিক ফ্লাই দুবাই। বিমান সংস্থাটি শুধু দুবাই রুটেই এই ফ্লাইট চালাচ্ছে চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি।
আর চট্টগ্রাম থেকে আবুধাবি রুটে সপ্তাহে দুটি এবং চট্টগ্রাম-দুবাই রুটে সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট চালাচ্ছে বাংলাদেশ বিমান। একমাত্র বাংলাদেশ বিমানই সবচেয়ে বড় ও বিলাসবহুল ফ্লাইট দিয়ে যাত্রী পরিবহন করছে এই রুটে।
ফ্লাই দুবাইয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, চট্টগ্রাম-দুবাই যাওয়ার ভাড়া জানুয়ারিতেও এক লাখ টাকার ভাড়া এখন ৫০ হাজারে নেমেছে। এর চেয়ে আর কত কমবে?
সূত্র : কালের কণ্ঠ