প্রাইম ডেস্ক »
কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ভিড় দেখা গেছে। দেশের প্রধান পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজারের বিভিন্ন প্রাকৃতিক দৃশ্য সংবলিত দর্শনীয় এলাকাগুলোতে ভ্রমণকারীদের উপস্থিতিও বেশ লক্ষণীয়। গত দুই দিন ধরেই পর্যটকের এমন ভিড় লেগে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের ছুটিসহ সাপ্তাহিক দুই দিনের ছুটিতে পর্যটকের ভিড় বেড়ে যায়।
সমুদ্রসৈকতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বালিয়াড়িতে দৌড়ঝাঁপ, সমুদ্রস্নান, মেরিন ড্রাইভ ভ্রমণ, সূর্যাস্ত দেখাসহ আনন্দমুখর সময় কাটাচ্ছেন ভ্রমণকারীরা। সাগরপাড়ের সুগন্ধা পয়েন্ট, লাবণী, কলাতলী ও কবিতা চত্বর বিচ পয়েন্টে বিপুলসংখ্যক পর্যটকের আনাগোনা দেখা গেছে।
শুক্রবার সৈকতে দেখা গেছে, বহুসংখ্যক ভ্রমণকারী ভিড় জমিয়েছেন বালিয়াড়িতে। ’সৈকতের ব্যবসায়ীরা জানান, বৃহস্পতিবার থেকে আশানুরূপভাবে পর্যটকের আগমন বেড়েছে। এত দিন ধরে পর্যটকের ভিড় কম থাকায় ব্যবসায়ীদের জীবনধারণেও অনেক কষ্ট হয়েছে। পর্যটকের আনাগোনা বাড়ায় ব্যবসায়ীরা এখন স্বস্তিতে রয়েছেন বলে তারা জানান। ব্যবসায়ীরা জানান, আগামী ২ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। রমজান মাসে লোকজন তেমন ঘরের বাইরে যেতে চায় না। এ কারণে রমজানের আগেই যে যার মতো করে ভ্রমণ করে যাচ্ছেন।
কক্সবাজার ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন টুয়াকের সভাপতি আনোয়ার কামাল জানান, টানা তিন দিনের ছুটিতে বহুসংখ্যক পর্যটক এসেছে কক্সবাজারে। সাগরপাড়ের হোটেল-মোটেলের প্রায় ৭০-৮০ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে সপ্তাহ শুরুর আগে থেকেই।
হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানান, আজ শনিবার পর্যন্ত হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউস বুকিং রয়েছে।