প্রাইম ভিশন ডেস্ক »
নির্ভুল নিশানায় একের পর এক রুশ যুদ্ধবিমান ধ্বংস করছেন তিনি। নিজের এই ক্ষমতার জেরে ‘ঘোস্ট অফ কিয়েভ’ বলে শত্রু-মিত্রর কাছে পরিচিতি পেয়েছিলেন ইউক্রেনের ফাইটার পাইলট মেজর স্তেপান তারাবালকা। তবে গত মাসে যুদ্ধ ক্ষেত্রেই ২৯ বছর বয়সী এই যোদ্ধা নিহত হন বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টাইমন অব লন্ডন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ১৩ মার্চ মাঝ আকাশে রাশিয়ার যুদ্ধবিমানের সঙ্গে ‘ডগ ফাইট’ বা লড়াইয়ে ভেঙে পড়ে মেজর স্তেপানের মিগ-২৯ ফাইটার জেটটি। তবে শেষ মুহূর্তেও বীরের মতো লড়াই করেছেন তিনি। একা হাতেই কয়েকটি রুশ যুদ্ধবিমানকে ঘায়েল করেন ‘ঘোস্ট অব কিয়েভ’। তবে শেষরক্ষা করতে পারেননি তিনি।
সাহসিকতার জন্য তাকে মরণোত্তর ইউক্রেনের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান ‘অর্ডার অব দ্য গোল্ডেন স্টার’ প্রদান করা হয়েছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। কিয়েভের দাবি, যুদ্ধের প্রথমদিনই রাশিয়ার ১০টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেন মেজর স্তেপান তারাবালকা। সবমিলিয়ে মোট ৪০টি রুশ ফাইটার জেট গুলি করে নামিয়েছেন তিনি। এ রকম অকুতোভয় যোদ্ধার মৃত্যুতে জেলেনস্কি বাহিনীর মনোবল জোর ধাক্কা খেয়েছে বলেই মনে করছে সমর বিশেষজ্ঞরা।
প্রসঙ্গত, টুইটারে ভাইরাল হওয়া অসংখ্য ভিডিওতে দেখা গেছে, ইউক্রেনের ‘মিগ-২৯’ যুদ্ধবিমানের চালকের আসনে এক হেলমেটধারী। ইউক্রেনের নানা শহরে যুদ্ধবিমান নিয়ে উড়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। নিখুঁত লক্ষ্যভেদে আকাশ থেকে নামিয়ে আনছেন রাশিয়ান বিমানবাহিনীর বিমান। যদিও ‘ঘোস্ট অব কিয়েভ’র অস্তিত্বকে নাকচ করে দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। টুইটারে ভাইরাল ওই ভিডিওটি ভুয়া বলে দাবি করে রয়টার্স জানায়, ওই ভিডিও আসলে ২০০৮ সালে ‘ডিজিটাল কমব্যাট সিমুলেটর’ (ডিসিএস) নামে একটি ভিডিও গেমের ফুটেজ। ইউক্রেন সরকার অবশ্য সেই দাবি নাচক করে দিয়েছেন।
আক্রমণের প্রথম দিনে ১০টি রাশিয়ান বিমান ভূপাতিত করার পর মেজর স্তেপান বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। গত মাসে ইউক্রেন সরকার এক টুইট বার্তায় জানিয়েছিলেন, মানুষ তাকে ঘোস্ট অব কিয়েভ বলে। আসলেই তিনি তাই।
তার হেলমেট এবং চশমা লন্ডনে নিলামে তোলা হবে বলে টাইমস জানিয়েছে।