প্রাইম ডেস্ক »
বাংলাদেশের সম্মানে শাওকেট মোসেলমান এমএলসির আয়োজনে সিডনিতে (নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের রাজধানী) অবস্থিত নিউ সাউথ ওয়েলস (পার্লামেন্টের জুবিলি রুমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়। বাংলাদেশী কমিউনিটির পক্ষে প্রবীণ আওয়ামী লীগ এবং পুরস্কার বিজয়ী কমিউনিটি নেতা গামা কাদির ও টিটো সোহেল অনুষ্ঠানটি আয়োজনে সহায়তা করেন।
মোসেলমানে তার বক্তৃতায় বলেন, অস্ট্রেলিয়াই প্রথম পশ্চিমা দেশ যারা ১৯৭২ সালে বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং তৎকালীন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী গফ হুইটলাম প্রথম বাংলাদেশ সফর করেন। তিনি বহুসাংস্কৃতিক অস্ট্রেলিয়ায় দ্রুত বর্ধনশীল অভিবাসী সম্প্রদায়ের অন্যতম বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের উল্লেখযোগ্য অবদানের কথাও বলেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা ছিলেন নেপালের অনারারি কনসাল জেনারেল দীপক খারকা, বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল, সিডনি, মাসুদুল আলম, রাশিয়ান ফেডারেশনের কনস্যুলেট-জেনারেলের সিনিয়র কনসাল নিকোলে ভিনোগ্রাডভ, সিডনির লর্ড মেয়র ক্লোভার মুরের প্রতিনিধি হিসেবে কাউন্সিলর এমেলদা ডেভিস, গ্রেগ ওয়ারেন এমপি, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ কংগ্রেস, অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি মনোজ শিওরান, ড. শান্তি রোজারিও এবং বিখ্যাত কলামিস্ট অজয় দাশগুপ্ত।
এছাড়াও মাননীয় মার্ক বুটেগিগ এমএলসি, নির্বাচিত প্রথম দুইজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারী কাউন্সিলরের একজন, ড. সাবরিন ফারুকী প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা ২৪ বছরের সংগ্রামের পর বাংলাদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধু ও তার দলের নেতৃবৃন্দের অবদান, মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসিকতা, ভারতসহ রাশিয়ার সহযোগিতা এবং সেই সাথে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
পরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের কয়েক দশকের দীর্ঘ সংগ্রামের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয় এবং বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণও দেখানো হয়। অনুষ্ঠানটি আরো প্রানবন্ত করে তুলে সংগীত পরিবেশন করেন নতুন প্রজন্মের শিল্পী শাহানা চৌধুরী ও রাশনান জামান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন টিটো সোহেল।
মূলধারার অস্ট্রেলিয়ান এবং বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের আমন্ত্রিত অতিথিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল আলম ও লাভলী রহমান, অস্ট্রেলিয়া যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান শামীম, চলচ্চিত্র প্রযোজক রহমত উল্লাহ, যুবলীগ নেতৃবৃন্দ অপু সরওয়ার, মহি কাদের, এলিজা টুম্পা, আমিনুল রুবেল, বীর খান, কমিউনিটি সংগঠক হেমা রেজাওয়ান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে, অনুষ্ঠানে বক্তারা সারা বিশ্বের বাংলাদেশিদের স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
Wherever we live, Bangladesh always remains in the heart. Thank you Bishwajit dada for covering our news.